অবিশ্বাস্য, অবর্ণনীয়, অভাবনীয়। অলিম্পিক ইতিহাসে এমন রেস দেখাটা বিরলই বটে।মাত্র ৫ মাইক্রোসেকেন্ডের দূরত্বে এগিয়ে থেকে কেউ দ্রুততম মানব হবেন, কেইবা ভেবেছিল! যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলস ঠিক সেটাই করে দেখালেন। স্তাদে দে ফ্রান্সের ট্র্যাকে ঝড় তুলে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতেছেন এই অ্যাথলেট।
৯.৭৯ সেকেন্ড টাইমিং নিয়ে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করেন লাইলস ও জ্যামাইকার কিশেন থম্পসন। তাই মাইক্রোসেকেন্ডে কে এগিয়ে, তা দেখতে দুজনেই চোখ রাখেন জায়ান্ট স্ক্রিনে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা শেষে সবার উপরে ভেসে উঠল লাইলসের নাম। এরপর তাকে আর পায় কে! প্রথমবারের মতো অলিম্পিক স্বর্ণ জিতে উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন তিনি। ক্যারিয়ারসেরা টাইমিং করা এই অ্যাথলেট সময় নিয়েছেন ৯.৭৯.৭৮৪ সেকেন্ড।
রুপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ৯.৭৯.৭৮৯ সেকেন্ডে শেষ করা থম্পসনকে। ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে ব্রোঞ্জ পান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কেরলি। অলিম্পিকের গত আসরে স্বর্ণ জেতা ইতালির মার্সেল ইয়াকবস এবার ৯.৮৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেস শেষ করেন পাঁচে থেকে। আট প্রতিযোগীর সবাই রেস শেষ করেছেন ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে। অলিম্পিকের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনোই হয়নি।
রেসের অনেকটা সময় পর্যন্ত থম্পসনই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ ১০ মিটারে বাজিমাত করে একে একে সবাইকে ছাড়িয়ে যান লাইলস। গত বছর বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি স্বর্ণ জিতে তাক লাগিয়ে দেন। তাই এবার অলিম্পিকে তাকে ঘিরে বেশি নজর ছিল অনেকের। ২৭ বছর বয়সী লাইলসও তাদের হতাশ করেননি। অথচ হিট ও সেমিফাইনালের কোনোটিতেই জিততে পারেননি তিনি।
২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকে জাস্টিন গ্যাটলিনের পর প্রথম মার্কিন অ্যাথলেট হিসেবে ১০০ মিটারে সোনা জিতলেন লাইলস।