জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন বলেছেন, ‘সবার দৃষ্টি ছিল ছাত্র আন্দোলনের দিকে। ঠিক তখনই একদল ষড়যন্ত্রকারী সুযোগ বুঝে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে। মূলত জামায়াত-বিএনপি এই নাশকতায় নেতৃত্ব দিয়েছে। এই নাশকতাকারীদের উদ্দেশ্যে ছিল গণভবন দখল করা।’
সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধা অডিটোরিয়াম, তেলের পাম্প, পুলিশ ফাঁড়ি, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গণভবন দখল করার উদ্দেশ্যে ছিল নাশকতাকারীদের। দেশের গোয়েন্দারা সজাগ না থাকলে গণভবন দখল করতো হামলাকারীরা। এই গণভবন দখল হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মতো আরেকটা ভয়াবহ দিকে যেতে হতো। ২১ আগস্টের মত আরেক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতো হামলাকারীরা। গোয়েন্দা নজরদারির কারণেই গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।’
মাদারীপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন নাশকতাকারীরা। প্রভাবশালী নেতারা ছক করেন, আর বাস্তবায়নের চেষ্টা চালান দুষ্কৃতিকারীরা। এই দুষ্কৃতিকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে জরুরি ভিত্তিতে এর বিচার করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করতে আর কেউ সাহস না পায়।’
সংসদ নেতা বলেন, ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার শক্তি বিএনপি-জামায়াতের নেই। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি কারই ছিল না। এজন্য বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি না থাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনার পথ বেছে নেয় বিএনপি-জামায়াত। মূলত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ক্ষোভে সারা দেশে এই আগুন সন্ত্রাস করেছে বিএনপি-জামায়াত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-০২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ অনেকেই।