‘১৯৮৭ সালে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৭ বছরে ব্যাংকটি উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কৃষক ও সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের ব্যাংক হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। অথচ সরকার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের অন্যতম দুর্বলতম ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বাকেবি) সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে রাজশাহী অঞ্চলের অগ্রসরমান কৃষি ব্যবস্থাপনা ও কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষক ন্যায্যতা হারাবে। ’
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী চেম্বার ভবন মিলনায়তনে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূতকরণ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে। এতে বিকেবিকে দুর্বল ব্যাংক আখ্যা দিয়ে রাকাবের একীভূতকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধের জন্য জোরালো দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজশাহী কবিকুঞ্জের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক।
তিনি বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই ছিল রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। ব্যাংকের এ বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে কেবলমাত্র দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষির উন্নয়ন এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে। অথচ এতগুলো বছর পর হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। তবে রাজশাহীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ সময় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ আলী কামাল বলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে একীভূত করলে হিসাব-নিকাশ হবে দুই ব্যাংকের একসঙ্গেই হবে। তখন লোকসানের দায়ভার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে নিতে হবে। এতে রাজশাহীর কৃষি মুখ থুবড়ে পড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু উপস্থিত ছিলেন।