রেফারির সিদ্ধান্তে পরিচ্ছন্নতা আনতে ব্যবহার করা হয় ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি (ভিএআর)। যা নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা হচ্ছে।সমালোচনাও কম হয়নি। এবার সেই পালে হাওয়া দিলেন ডাচ কোচ রোনাল্ড কুমান।
ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে ইউরোর ফাইনালে উঠতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। যদিও শুরুতে এগিয়ে ছিল তারাই। কিন্তু পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোর ফাইনালে নাম লেখায় ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডের সমতা ফেরানো গোল নিয়ে ভিএআরকে একহাত নিলেন কুমান।
সপ্তম মিনিটে গোল হজম করার পর ১৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক হ্যারি কেইন। যদিও সেটা পেনাল্টি ছিল না বলে মত কুমানের। বক্সের ভেতর থেকে কেইনের শট নিলে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন ডেনজেল দামফ্রাইস। কিন্তু উল্টো কেইনের পায়ে লাথি মেরে বসেন এই ডাচ ডিফেন্ডার। রেফারি প্রথমে ফাউল না দিলেও ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
তখনই ফুঁসে ওঠেন কুমান। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমার মতে, এটি পেনাল্টি দেওয়া উচিত ছিল। হ্যারি কেইন সেখানে শট নেয় এবং তাদের দুজনের পায়ে সংঘর্ষ হয়। । আমার মনে হয় ভিএআরের কারণে আমরা ঠিকমতো ফুটবল খেলতে পারছি না। এটি সত্যিই ফুটবলকে বিনষ্ট করছে। ‘
ডাচ অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইকও মনে করেন, পেনাল্টির ওই সিদ্ধান্ত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা ম্যাচের বড় এক মুহূর্ত ছিল। ইংল্যান্ড এটা থেকে কিছু আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যায়নি। তবে রেফারির ব্যাপারে কথা বলতে চাই না আমি। ‘
‘আমি জানি না, আমার বলা উচিত হবে কি না। তবে শেষ বাঁশি বাজানোর পর মাঠ ছেড়ে দ্রুত দৌড়ে ড্রেসিংরুমের দিকে যান রেফারি, এটাই অনেক কিছু বলে দেয়। তার সঙ্গে হাত মেলানোর সুযোগও পর্যন্ত পাইনি আমি। ‘