আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য সেই সিরিজ পেছানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
পূর্ণাঙ্গ সিরিজে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। দেশের বাইরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টাইগাররা সবশেষ সিরিজ খেলেছিল ২০১৮ সালে। ভারতে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে টি-টোয়েন্টি (তিনটি) বাদে অন্য কোনো ফরম্যাট খেলা হয়নি।
আসন্ন সিরিজ নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এফটিপিতে যেটা হয়, সেটা তো অনেক আগেই সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত হয়ে থাকে। কে কোথায় ট্যুর করবে। সেক্ষেত্রে এফটিপির একটা কমিটমেন্ট ছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এটা আমরা আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এটাকে আমরা কাজ করছি। ‘
‘ফাইনাল কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছি সুবিধাজনক সময়ে যেন এটাকে রিশিডিউল করা যায়। সেই ব্যাপারে ক্রিকেট অপারেশনসের সঙ্গে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের যোগাযোগ হচ্ছে। ‘
আগামীকাল দুপুরে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভা রয়েছে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। বোর্ড সভার এজেন্ডা নিয়ে সুজন বলেন, ‘আপনারা ইতোমধ্যে জানেন যে আগামীকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের একটা সভা রয়েছে। এবং এই সভায় মূলত আমাদের রুটিন ম্যাটারসগুলো থাকবে সেটা আসবে। ‘
‘আমাদের যে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের যে প্রজেক্টটা রয়েছে, ইন্টারন্যাশন্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্টের যে প্রসিডিউর আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এটার ব্যাপারে বোর্ডের যে অ্যাপ্রুভাল দরকার সেটার একটা এজেন্ডা রয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশ দল আইসিসির কোনো মেজর ইভেন্ট বা এসিসির কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার পর আসলে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে যে আলোচনা হয় এটাও একটা রুটিন ব্যাপার। ‘
বিপিএলের আগামী আসর নিয়ে সুজন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বিপিএলে অংশগ্রহণকারী গত আসরে যারা খেলেছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বেশির নিশ্চিত করেছে তারা খেলবে। দুই একটা দল এখনও আমাদের জানায়নি। ওইগুলো জানালে তার পরবর্তীতে আমরা ঠিক করব। আমরা ইতোমধ্যে একটা সময় নির্ধারণ করেছি প্লেয়ার ড্রাফটের জন্য। কাজগুলো আমরা ধাপে ধাপে করব। ‘