রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, কোভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের রফতানি বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আগামীকাল ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ প্রদান উপলক্ষে আজ শনিবার দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সকলের সম্মিলত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, রফতানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে রফতানিকারকদের নিরলস পরিশ্রম আর আন্তরিক প্রচেষ্টা একান্ত প্রয়োজন। একইসাথে রফতানিমুখী শিল্পকারখানার কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে রফতানি বাণিজ্য প্রসারের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রফতানি খাতের অবদান ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রফতানি ট্রফি প্রদানের মত প্রণোদনামূলক কার্যক্রম রফতানিকারকের সক্ষমতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এমন আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থাকাকালীন প্রাপ্ত অনেক অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ভবিষ্যতে আর থাকবে না। তাই এখন থেকেই আমাদের রফতানি সক্ষমতা বৃদ্ধি ও রফতানি বাজার সম্প্রসারণে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় রফতানিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃতি রফতানিকারকদের ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ প্রদান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এ উদ্যোগ রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে রফতানিকারকদের উৎসাহিত করবে।
বাণীতে তিনি ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ বিজয়ী সকল রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র : বাসস