যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা হলো উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের। তিনি দোষ স্বীকার করবেন এবং নিজের দেশে ফিরতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবেন অ্যাসাঞ্জ। তার ৬২ মাসের কারাদণ্ড হবে। এরইমধ্যে এ সময়টা যুক্তরাজ্যে জেলে কাটিয়েছেন। ফলে এবার তিনি মুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরতে পারবেন। ইতোমধ্যে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অ্যাসাঞ্জ।
গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে মার্কিন আইন ভঙ্গ করার জন্য ক্ষমা চাইবেন জুলিয়ান আসাঞ্জ। উইকিলিকস জানায়, অ্যাসাঞ্জ জেল থেকে বেরিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের বাইরে চলে গেছেন।
এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে উইকিলিকস জানায়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্ত। ১৯০১ দিন বেলমার্শ কারাগারে কাটানোর পর ২৪ জুন তিনি ছাড়া পান। লন্ডনের হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন এবং বিকেলে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য ছাড়েন।
সমঝোতা নিয়ে যা জানা গেল
অ্যাসাঞ্জ বুধবার উত্তর মারিয়ানা আইল্যান্ডের আদালতে যাবেন। সোমবার নথিপত্র পেশ করা হয়। তার আইনজীবীরা জানান, তিনি একটিমাত্র আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নেবেন। জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গোপনীয় বিষয় ফাঁস করা এবং চক্রান্তের দায় স্বীকার করবেন তিনি।
দীর্ঘ আইনি লড়াই
২০০৬ সালে অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েবসাইটটি হাজার হাজার পাতার মার্কিন সামরিক নথি প্রকাশ করে। তার মধ্যে আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন সামরিক নথিও ছিল। এ ছাড়া কূটনীতিকরা যে সব বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেসবও ফাঁস করে।
২০১০ সালে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে তিনি জামিন পান।
২০১২ সাল থেকে তিনি সাত বছর লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে কাটান। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে যাতে গ্রেপ্তার না করা যায়, তার জন্য এই কাজ করেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জের শঙ্কা ছিল, তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিল। পরে সুইডেনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে তাকে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের জেলে ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেন, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাটা দীর্ঘদিন ধরে টেনে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে নতুন করে কিছু পাওয়া যাবে না।
ডয়চে ভেলে অবলম্বনে