তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব কুর্দি প্রধান অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা শুক্রবার দিয়ারবাকির এবং মারদিন শহরে রাতভর দাবানলে এ হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ পোস্টে বলেছেন, দাবানলের আগুনে ৭০ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজনকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফসলের খড় পোড়ানোর মধ্য দিয়ে আগুনের সূত্রপাত। পরে বাতাসে তা কোকসালান, ইয়াজসিসেগি এবং বাগাসিক গ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাতের আকাশে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের মতো ধোঁয়ার মেঘ বাতাসে উড়ছে।
দিয়ারবাকিরের গভর্নর আলী ইহসান সু জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে চারটি জরুরি দল এবং ৩৫টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে দেশটির কুর্দিপন্থি পিপলস ইকুয়ালিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি পার্টি (ডিইএম) সরকারের হস্তক্ষেপ দেরিতে এবং অপর্যাপ্ত” বলে সমালোচনা করেছে। এ পার্টির পক্ষ থেকে রাতের বেলা কর্তৃপক্ষকে জল বোমারু বিমান পাঠানোর অনুরোধ করে বলা হয়েছিল ভূমি থেকে এ আগুন নেভানো সম্ভব হবে না।
দেশটির বিচারমন্ত্রী ইলমাজ টুঙ্ক জানিয়েছেন, পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস আগুনের কারণ সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছে।
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া বলেছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিয়ারবাকির থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৮ মাইল) দক্ষিণে একটি এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয় এবং দ্রুত বাতাসের কারণে আগুন পাঁচটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু এজেন্সি জানায়, উত্তর-পশ্চিম তুরস্কজুড়ে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা কানাক্কালে প্রদেশের আইভাসিক শহরের কাছে দাবানল নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ হতাহত হয়নি তবে কর্তৃপক্ষ সতর্কতা হিসেবে ছোট্ট গ্রাম ক্যামকোয়ের লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রচণ্ড বাতাস এবং গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রার মধ্যে কানাক্কালে প্রদেশে বেশ কয়েকটি দাবানলের মধ্যে এটি একটি।
ইউরোপিয়ান ফরেস্ট ফায়ার ইনফরমেশন সিস্টেম অনুসারে, তুরস্কে এ বছর এ পর্যন্ত ৭৪টি দাবানল হয়েছে। এতে ১২ হাজার ৯১০ হেক্টর (৩১,৯০০ একর) জমি ধ্বংস হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা