এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল বেশ নাজুক। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর প্রত্যাশা গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে।কিন্তু অল্প আশা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
সুপার এইটে প্রথম ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। অজিদের বিপক্ষে ম্যাচের আগেই দলকে উপভোগের মন্ত্র জঁপে দিয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা টুর্নামেন্টে এসেছি, প্রথম লক্ষ্য ছিল সুপার এইটে যাওয়া। আমার মনে হয় দারুণভাবে সেটা অর্জন করেছি…আমি কী বলতে পারি, আমাদের বোলাররা খেলায় রেখেছে? এর মানে হচ্ছে আমরা কন্ডিশনে ভালো খেলেছি। আমরা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগিয়েছি। ’
‘আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, এখানে থাকতে পেরে আমরা খুবই খুশি। এখান থেকে যা পাব, সেটাই বোনাস। আমরা অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলেছি। তিনটি দলকেই যতটুকু সম্ভব, সেরা চ্যালেঞ্জ দেওয়ার চেষ্টা করব। ’
গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটাররা নিজেদের ভূমিকা পালন করেছেন ঠিকঠাক। উপভোগের কথা বলে সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হাথুরু। জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের কাছে তার কী প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেন খেলা শুরু করেছি? উপভোগ করতে। আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে উপভোগটা কেড়ে নিতে চাই না। খেলাটা কত বড়? এর মানে কিন্তু এই না যে, খেলোয়াড়রা গিয়ে যা খুশি করার ফ্রি লাইন্সেস পাচ্ছে। ’
‘তাদের একটা নির্দিষ্ট ভূমিকা আছে, সেটা পালন করার ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা আছে ও সবসময়ের মতো উপভোগ করতে পারে। আমরা ক্লাবে অথবা দেশের হয়ে খেলি অথবা পার্কে…আমরা এজন্যই খেলতে শুরু করেছি। এজন্য উপভোগের ব্যাপারটা এগিয়ে থাকে কিন্তু তাদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে দলের জন্য। ’