জেলায় ঊর্ধ্বগতির বাজারে মসলার সংকট নেই। আর মসলার আমদানি অনুযায়ী তেমন একটা ক্রেতা নেই, তাই বেচা বিক্রিও কম।
শনিবার (১৫ জুন) পাইকারি বাজার ঘুরে জানা গেছে, এলাচের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা বেড়ে প্রকারভেদে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগের চেয়ে ১৫০ টাকা কমে শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দারুচিনি আগের দরেই ৫০০ টাকা কেজি। লবঙ্গ আগের দরে কেজি ১ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জিরা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৬৮০ টাকা, গোলমরিচ ৬০ টাকা বেড়ে ৮৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর হলুদ কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা।
তবে দেশি রসুন শুরু থেকেই দাম বৃদ্ধি বলে ১৯০ টাকা কেজি আর ভারতীয় রসুন ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় আর আদা ৮০ টাকা বেড়ে এখন ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
যদিও ক্রেতা কম থাকা বরিশালের বাজারে মসলার ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলোর দামই ভোক্তা পর্যায়ে বেড়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক নামে এক মুদি দোকানি জানান, মূলত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির রেডিমিক্স মসলার কদর বাড়ছে। আবার দিনে দিনে মসলার দাম বাড়ায় অনেকে ব্যবহার বিধিতে পরিবর্তন এনেছেন ভোক্তারা। সেক্ষেত্রে খুচরা বাজারে আলাদাভাবে অনেক মসলার বেচাবিক্রি কমে গেছে। তাই অনেকের আগের মসলা বিক্রি না হওয়ায় নতুন করে কেনার প্রয়োজন হয়নি। যার প্রভাব পাইকারি বাজারে পড়ছে।
মিন্টু খান নামের অপর মুদি দোকানি জানান, মসলার দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারের কোনো ব্যবসায়ী এখন আর একসঙ্গে অনেক টাকার মসলা ওঠাতে চান না। কারণ, বিক্রি না হয়ে নষ্ট হলে লোকসানটাও অনেক। আবার কৌশলী ভোক্তা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা তো ১৫-১৬ দিন আগেই মসলা কিনেছেন। তখন কিছুটা কম দামও পেয়েছেন।
এদিকে নাহিদা সুলতানা নামে এক ক্রেতা বলেন, রেডিমিক্স মসলার কারণে এখন অনেক খাবার রান্না করা সহজ হয়ে গেছে। তবে ঈদসহ উৎসবে রান্নায় স্বাদ আনতে বাটা মসলার ব্যবহার করে থাকি। যদিও মসলার যে দাম প্রয়োজনের বেশি এখন আর আমি কিনি না।
আর খাইরুল ইসলাম নামে অপর ক্রেতার মতে, মসলার বাজার গেল বছরের তুলনায় চড়া। তারপরও প্রয়োজনীয় বলে কিনতে হচ্ছে।