মরিশাসে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ দেশটির রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজসিং রূপণের নিকট আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) আনুষ্ঠানিক পরিচয়পত্র পেশের পর মরিশাসের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে অভিনন্দন ও উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকেও তার শুভকামনা জানান।
প্রেসিডেন্ট বলেন, মরিশাস সর্বদা বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যকার সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের কমন মার্কেট ফর ইস্টার্ন অ্যান্ড সাউদার্ন আফ্রিকা, সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি এবং ইস্ট আফ্রিকান কমিউনিটির বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করার জন্য মরিশাসকে আফ্রিকান গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
মরিশাসের প্রেসিডেন্ট তার দেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে পোশাক খাতে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া তিনি দুদেশের মধ্যকার অনিষ্পন্ন সমঝোতা স্মারক বা চুক্তিগুলো চূড়ান্ত করে সইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময়ে তিনি ২০২৩ সালের মে মাসে তার বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণ করেন।
হাইকমিশনার জকি আহাদ মরিশাসের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি মরিশাস সরকারের উষ্ণ শুভেচ্ছা ও আন্তরিক সহযোগিতার জন্য দেশটির সরকারকে তার কৃতজ্ঞতা জানান।
জকি আহাদ তার মেয়াদকালে দুদেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ়করণে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে নতুন পর্যায়ে উন্নীতকরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার আহাদ মরিশাসের প্রেসিডেন্টকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা‘ গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনমানের উৎকর্ষ সাধনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ফোরাম সক্রিয় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
তিনি মরিশাসের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ায় মরিশাস সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উভয় সরকার দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার নতুন নতুন পথ সন্ধানের জন্য ভবিষ্যতে কাজ করে যাবে বলে দুই পক্ষ আশা করে।
হাইকমিশনার আহাদ পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য মরিশাসের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে মরিশাসের স্টেট হাউস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত প্রথম সচিব যাকারিয়া বিন আমজাদ প্রথম সচিব (রাজনৈতিক), প্রথম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রথম সচিব (শ্রম) মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।