নায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে জড়িয়ে ২০২২ সালে বিস্ফোরক স্ট্যাটাস দিয়েছিরেন তখনকার রাজের স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমণি। যা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
মূলত ‘পরাণ’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেন মিম ও শরিফুল রাজ। সবাই ভেবেছিলো, এই জুটিকে নিয়ে আরও কিছু ভালো সিনেমা নির্মাণ হবে। কিন্তু তা আর হয়নি। মিম-রাজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘দামাল’-এর প্রচারণার সময়েই তৈরি হয় ঘোলাটে পরিস্থিতি।
পরীমণি এক স্ট্যাটাসে আঙুল তোলেন মিম আর রাজের সম্পর্কের দিকে। এই ঘটনায় পাল্টা কোন জবাব কখনো দেননি মিম। এমনকি রাজের সঙ্গে আর কোনও সিনেমায় জুটিও হননি তিনি। কারণ, তিনি চাননি রাজের সঙ্গে কাজ করে আবার অযথা কোন ঝামেলায় জড়াতে।
এই ঘটনায় মিম আর পরীর মধ্যে মুখ দেখাদেখিও নাকি বন্ধ ছিল। তাদের দেখা তো দূরের কথা, একে অন্যকে রীতিমতো এড়িয়ে চলতেন। তবে সময়ের পরিক্রমায় এই দুই নায়িকাকে আবারও একমঞ্চে দেখা গেলো। শুধু কি দেখাই গেলো? না, রীতিমতো গলাগলি করলেন, যেন কতোদিন পর দেখা হয়েছে অতি আপনজনের সঙ্গে!
শুক্রবার (০৭ জুন) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত ফ্যাশন শোর মঞ্চে এমন দৃশ্য দেখা যায়। দুই নায়িকা র্যাম্পের মঞ্চে হাজির হন সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে। সেখানেই মিম-পরী মেতে ওঠেন খুনসুটিতে। এক অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। মঞ্চে তখন শাকিব খান ছাড়াও পূজা চেরী, সাবিলা নূর, ইমন থাকলেও কয়েক সেকেন্ডের জন্য সবার দৃষ্টি চলে চায় মিম-পরীর দিকে।
তাদের এই হাস্যজ্জ্বল দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। অনেকেই ভাবছেন, তাহলে কি মিটে গেছে দুই নায়িকার মধ্যকার মনোমালিন্য?
এ ব্যাপারে মিম জানান, দুই বছর আগে পরীমণি আমার জন্মদিনের রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আমাকে সবার সমানে অপমান করেছিল, হেয় করেছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। এর পর থেকে আমি এড়িয়ে চলি তাকে। এদিন স্টেজে ওঠার আগে মঞ্চের পেছনে সবার সঙ্গে আমিও দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ পরীমণি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, “এই তুমি আমার ওপর রাগ করে আছো? আমি সরি, ওসব কথা আর মনে রেখো না। ওসব ভুলে যাও। এই তুমি আমার বাচ্চাকে ভালোবাসা না?” এ ধরনের নানা কথা বলতে থাকে। আমি তো অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই এসে জড়িয়ে ধরার বিষয়টি আমি প্রস্তুত ছিলাম না। ওই সময় সাবিলা নূর, তানজিন তিশাসহ অনেকেই বিষয়টি দেখেছেন।
মিম আরও জানান, মঞ্চে ওঠার আগে, এমনকি অনুষ্ঠান শেষে চলে আসার সময়ও আরও দুবার একইভাবে জড়িয়ে ধরে ওই সব কথাই বলতে থাকেন পরীমণি। প্রতিবার ওই একই কথা। তখন আমি বলেছি, অবশ্যই বাচ্চাকে ভালোবাসি। যেভাবে আমাকে বারবার জড়িয়ে ধরে নিজের ভুল স্বীকার করল, অনুতপ্ত হলো, মানুষমাত্রই তো ভুল হয়, আমার আর কী করার আছে। ক্ষমা করে দিয়েছি।