বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। তার আমলে আওয়ামী লীগ দরখাস্ত দিয়ে, নতুন করে অনুমোদন নিয়ে দল গঠন করেছিল।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
ফখরুল বলেন, পত্রিকা খুললেই দেখা যাবে বেনজীরের (পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ) নজিরবিহীন দুর্নীতি। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, তাকেও স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। একজন সংসদ সদস্যকে পার্শ্ববর্তী দেশে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। এই হলো সরকারের চেহারা।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর মান-ইজ্জত কোথায় থাকে, যখন সাবেক আইজিপিকে পালিয়ে যেতে হয় দেশ থেকে। অর্থাৎ এ সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাহস থাকলে আসুন না, একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করুন। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কার কত জনপ্রিয়তা বোঝা যাবে। এ সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। গত ১৫ বছরে দানব সরকার সবকিছু ধ্বংস করেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বারবার জেলে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা এখনো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে এক জোটে নামতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি কে হয়েছিলেন? খন্দকার মোশতাক আহমদ। মন্ত্রী ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারাই। মন্ত্রিত্বে কোনো পরিবর্তন হয়নি। মন্ত্রীরা মোশতাককে স্যালুট করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সব করার জন্য বিএনপির ওপর দোষ চাপায়। কিন্তু তখন তো বিএনপির জন্মই হয়নি।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সাহিদা রফিক,মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ ।