বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনঃগণনা ও ফলাফল বাতিলের দাবি করেছেন একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ রিজু।
এছাড়াও তিনি অভিযোগ তুলেছেন ভোটের রাত থেকে এ পর্যন্ত তার ১৫ জন কর্মী ও সমর্থকের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।তাদের মধ্যে দু’জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রিজু বলেন, ভোটের দিন জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে যেসব কেন্দ্র থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়, সেসব কেন্দ্রের ভোট স্থগিত না করেই গণনার সঙ্গে তা যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় যেখানে ২৮ থেকে ৩০ শতাংশের অধিক ভোটার ভোট দিতেই যাননি, সেখানে ৪২ শতাংশ ভোট দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সুস্পষ্টভাবে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে তিনি এ ফলাফল বাতিলসহ ভোট পুনঃগণনা দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিজয়ী ঘোষিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার সন্ত্রাসী বাহিনী ভোটের দিন রাত থেকে শুরু করে শনিবার পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের ওপরে হামলা করেছে। তারা সবাই তার (রিজুর) কর্মী ও সমর্থক।
এসব কর্মী ও সমর্থকের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে পানিতলা এলাকার হারুন বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বিহারের জিল্লুর শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এছাড়া ময়দানহাটা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর থেকে মিঠু নামের এক কর্মীকে মোস্তার লোকজন তুলে নিয়ে গেলে পুলিশ পরে তাকে উদ্ধার করেছে।
এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভোটে হেরে তিনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। একারণে যা ইচ্ছে তাই বলছেন। এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে উৎসবমুখর ভোট হয়েছে। এখানে স্থানীয় লোকজনকে মারধর করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আর ভোটে অনিয়ম বা কারচুপি করার মতো কোনো অবস্থাই তো ছিল না; থাকলে তো তিনিই আগে সেটি করতে পারতেন, কারণ স্থানীয় সংসদ সদস্য তার পক্ষে ছিলেন এবং তিনি স্বপদে থেকে ভোট করেছেন। ’