নরসিংদীতে সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হাসানের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের জনগণের আয়োজনে শেখেরচর ভগিরতপুরের মাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌলানপুর মাদরার প্রদক্ষিণ করে ঈদগাঁ মোড় গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।
কর্মসূচিতে নিহত মাহবুবুলের স্বজন, এলাকাবাসী, রাজনৈতিক নেতারাসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
এ সময় প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, হত্যাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ী। তারা মনে করেছিলো মাহবুবকে হত্যা করতে পারলে তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারবে। তাদের স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক পরিকল্পনাকারী ছিল, তাদের তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কেউ যদি রাজনৈতিক ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে তাদের সবাইকে বয়কট করা হবে। আর আসামিদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় এ ব্যাপারে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, নিহতের ছোট ভাই হাফিজুল হাসান, মাধবদী পৌর সভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, চরদিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহীন, পাচঁদোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, নুরালাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাকারিয়া, মহিষাশুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আগামী সোমবার বাদ আসর সব নেতাকর্মীরা মাহবুবুল হাসানের কবর জিয়ারত করবেন। পরে খালপাড় শাহী ঈদগাহ মাঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। পরে সেখানে শহীদ মাহবুব চেয়ারম্যান সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হবে। এ সংগ্রাম পরিষদ থেকে মাহবুব হত্যাকাণ্ডের সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর এলাকায় মেসার্স মা বাবা টেক্সটাইলের সামনে মাহবুবুল হাসানকে (৪০) গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।