মাদারীপুরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন (৪৫), শহরের শকুনি এলাকার পান্নু মুনশির ছেলে মুন্না মুনশি (২৩), আলী সরদারের ছেলে জহিরুল সরদার (২২) ও আসিন মোল্লার ছেলে ধনু মোল্লার (২৩) নাম জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, মাগরিবের নামাজের সময় ডিসি ব্রিজ এলাকায় এক চালক মোবাইল ফোনে জোড়ে কথা বলতে বলতে ইজিবাাইক চালাচ্ছিলেন। এ সময় কলেজ রোডের ইয়াসিন হোসেন, বাবু, তানভীর হোসেন ও মো. সজীব দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে ওই ইজিবাইকচালককে তার ইজিবাইকটি নিয়ে মূল সড়ক থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে ওই ইজিবাইকের চালক ও যাত্রী মো. জাহিদের সঙ্গে মোটরসাইকেলআরোহীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরেই কলেজ রোড ও শকুনি এলাকার কয়েকজন যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে ঘটনাস্থলে থাকা সদর থানার ওসিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে ফের সংঘর্ষ এড়াতে ডিসি ব্রিজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত হাসান বলেন, দুই পক্ষের লোকজনই বেপরোয়া। তারা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করেন। এ সময় বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছিল। পরে রামদা, ঢাল, টেঁটা, রড, লাঠি নিয়ে তারা মারামারি করেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে মারামারি। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, শহরের কলেজ রোড ও শকুনি এলাকার যুবকদের দুটি গ্রুপ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।