আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা

আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবনের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে এই পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আরও উপস্থিত ছিলেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান।

অনুষ্ঠানে টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন, সচিবালয় ও প্রেসক্লাবের সামনেসহ ঢাকার ১০৩ জায়গায় ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। একই কায়দায় চট্টগ্রামের ৫০ ও গাজীপুরের ১৫ থেকে ২০টি জায়গায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ট্রাকে ১০ টন করে পেঁয়াজ থাকবে এবং প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীসহ যে কেউ ট্রাক থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বলেন, দেশে পেঁয়াজের যে চাহিদা রয়েছে, সেই পরিমাণ উৎপাদন হয় না। কিছুটা ঘাটতি থাকে। যে কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করা হয়। এক্ষেত্রে ভারতের পেঁয়াজ আমদানি আমাদের জন্য সুবিধাজনক। কারণ, ভারতের পেঁয়াজ আমাদের দেশি পেঁয়াজের কাছাকাছি এবং দামও কিছুটা কম। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে দেশের বাজারে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং দামও সুবিধাজনক স্থানে ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজস্ব উদ্যোগে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারতের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে পেঁয়াজ আমদানি উদ্যোগ নেন। নেগোসিয়েশনে ভারতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির কথা দেয়৷ তারই প্রথম চালান হিসেবে গত পরশু ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে সেটিই এখন টিসিবির ট্রাক সেলের মাধ্যমে উন্মুক্তভাবে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, পেঁয়াজ আনার ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি ছিল। যখন আমরা পেলাম, তখনও আমরা একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম যে আমরা এই পেঁয়াজ এনে রোজা শেষ হওয়ার আগে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব কিনা। আপনারা বিশ্বাসও করবেন না, এই পেঁয়াজ দিল্লি থেকে লোডিং হয়ে দর্শনা হয়ে ট্রাকে আজকে এখানে আসছে। এটা আনার জন্য অস্বাভাবিক লজিস্টিক প্রয়োজন। যেটা টিসিবি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি পেঁয়াজও নষ্ট না হয়ে দেশে এসেছে। সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে আমাদের অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকি নিতে হয়েছে। পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে কমে যাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। তারপরও আমরা এই ঝুঁকি নিয়েছি। এটি সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পেঁয়াজ রপ্তানি করায় ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি টিমের মতো কাজ করেছে। প্রথমবারের মতো আমরা টিসিবির মাধ্যমে পচনশীল পণ্য দিলাম। ভারত সরকার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের কথা রেখেছে। বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে রমজানের মধ্যেই তারা পেঁয়াজ দিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS