গত বিশ্বকাপ অবধি জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তকে।তার নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। কিউইদের মাটিতেই দুই ফরম্যাটে ম্যাচ জিতেছে প্রথমবার। ক’দিন আগেই শ্রীলঙ্কাকে ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ। শান্তকে লম্বা রেসের ঘোড়া মনে করছেন সাকিব।
বিশ্বকাপে সাকিবের ডেপুটি ছিলেন শান্ত। তবে এবারই প্রথম শান্তর নেতৃত্বে খেলতে যাচ্ছেন সাকিব। বুধবার একটি বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে ঢাকায় তিনি বলেন, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (অধিনায়কত্ব নিয়ে মন্তব্য করা)। আমি নিশ্চিত বিসিবি ওকে লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে। ’
অধিনায়ক হিসেবে সিলেট টেস্টে শান্তর অভিজ্ঞতা অবশ্য মোটেই ভালো নয়। ৩২৮ রানের বড় হার জুটেছে তার কপালে। সেটা ভুলে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন। সিলেট টেস্ট হওয়ার পরই তা সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচেই অনেক কিছু শেখা যায়। কী ভুল ছিল, কী ঠিক ছিল। একটু ভালোভাবে চিন্তা করলে শেখার আছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। আমি অধিনায়ক হিসেবে সেইফ ক্রিকেট খেলতে চাই না। পরের ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব এবং ঐ অনুযায়ী প্রস্তুতি-পরিকল্পনা করবো। ’
‘বড় রানের হোক আর ছোট রানের হোক, হার তো হার। ব্যাটিং যদি দুই ইনিংসেই দেখি, টপ অর্ডার ভালো করেনি। শুধু আমরা যে সমস্যায় পড়েছি এমন না। দুই দলেরই টপ অর্ডারের সমস্যা হয়েছে। এই অজুহাত দেওয়াও ঠিক হবে না। কীভাবে আরও ভালো করতে পারি এটা নিয়ে কাজ করা দরকার। আশা করছি সামনের ম্যাচ ভালো করবো। ’