অনিয়ম এবং কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করে এমন অসাধু ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে বাজার কমিটিগুলোর সহযোগিতা চায় দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেটে ইসলামিয়া শান্তি কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতা চান এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো আমিন হেলালী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া।
সভায় আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসায়ীরা নিয়মের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সবাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
তিনি বলেন, শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছর দেশব্যাপী এফবিসিসিআইয়ের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।
বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণ উদ্ঘাটন করে তা লিখিত আকারে জানাতেও তিনি আহ্বান জানান।
সে সব সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে এফবিসিসিআই কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কৃষক ও ভোক্তারা ভোগান্তিতে থাকলেও মধ্যস্বত্ব ভোগীরা লাভবান হচ্ছে।
ক্যাশ ম্যামো ব্যবস্থা না থাকায় বেশি কারচুপি হচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, ক্যাশ ম্যামো ব্যবস্থা চালু করা গেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশেই কমে আসবে। ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
পণ্য কেনা-বেচার সময় রসিদ রাখার ব্যবস্থা জোরদার করার কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস।
আড়তদারদের পাশাপাশি আমদানিকারকদেরও মনিটরিং-এর আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।