একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।এ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ কী? মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটা লড়াই-সংগ্রাম করা যায়, তার চেয়েও বেশি আমরা করছি।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ক্ষমতাসীন দলের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এদের পরাজিত করতে না পারলে আমরা তো মুক্তি পাচ্ছি না। এ নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। সুতরাং আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ করা। দ্বিতীয় কাজ হলো গোটা জাতিকে সমন্বিত করা। তারপর বিদ্রোহ, প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ৭১ সালের যুদ্ধে দেশের মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ৬৯ ও ৯০ সালে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ এদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটিই পথ, এদের পরাজিত করতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন। মনে হয়েছিল হয়তো আর সময় পাওয়া যাবে না। আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।