জার্মানির অধিকাংশ নাগরিক মনে করে বহিশত্রুর আক্রমণ থেকে জাতিকে রক্ষা করার সক্ষমতা দেশটির সেনাবাহিনীর নেই। সাম্প্রতিক একটি জরিপের ফলাফলে এই তথ্য ওঠে এসেছে।
উত্তরদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ বলেছেন তারা বুন্দেসওয়ারের (জার্মান সেনা) সক্ষমতায় বিশ্বাস করেন না, মাত্র ১০ শতাংশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করে।
ফোকাস ম্যাগাজিনের আয়োজনে ডিজিটাল জরিপ সংস্থা সিভেই দ্বারা পরিচালিত এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ জার্মান মনে করেন সামরিক বাহিনী সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রুখেদাঁড়াতে সক্ষম হবে। অপর দিকে ৪৫ শতাংশের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা দুর্বল, যেখানে ১৫ শতাংশ অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন। মাত্র ২ শতাংশ বলেছেন সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের বিশ্বাস রয়েছে, আর ৮ শতাংশ বলেছেন অনেক বেশি বিশ্বাস রয়েছে। খবর আরটি
প্রতিরক্ষা তহবিলের ক্ষেত্রে, সংখ্যাগরিষ্ঠ (৬৯ শতাংশ) জার্মানদের মত সেনাবাহিনীর আরও অর্থের প্রয়োজন, ৬৪ শতাংশ মনে করেন বার্লিনকে তার জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ জাতীয় প্রতিরক্ষায় ব্যয় করা উচিত।
গত নভেম্বরে জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছিলেন বুন্দেসওয়ারকে যুদ্ধে অংশগ্রহণের উপযোগী করার জন্য এর ব্যাপক উন্নয়ন দরকার। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৩ শতাংশ পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে একমত আর ৬৪ শতাংশ মনে করেন ২০১১ সালে বিলুপ্ত করা নাগরিকদের বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিসে অংশ নেওয়ার আইনটি পুনঃপ্রবর্তন করা উচিত।
উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ৩২ শতাংশ বলেছেন, জার্মান জাতি আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য তারা অস্ত্র হাতে তুলে নিতে ইচ্ছুক। যদিও ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তারা কোন অবস্থাতেই অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করবেন না।