ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরেই নতুন কীর্তি গড়লেন রশিদ খান। আফগানিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে ৩৫০টি আন্তর্জাতিক উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।অন্যদিকে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি চার মারার রেকর্ড নতুন করে গড়ার পাশাপাশি প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৪০০ চারের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পল স্টার্লিং।
গত বছর ১০ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার সময় পিঠে চোট পান রশিদ খান। এই চোটে সব মিলিয়ে প্রায় চার মাস মাঠের বাইরে ছিলেন এই লেগ স্পিনার। শারজায় আফগানিস্তান–আয়ারল্যান্ড টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি।
ম্যাচটি যদিও আফগানিস্তান হেরে গেছে। তবে দলীয় ব্যর্থতার দিনে বল হাতে ফেরাটা রাঙিয়েছেন রশিদ। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে ১১তম ওভারে টানা দুই বলে নেন ২ উইকেট। এরপর ১৭তম ওভারে নেন গ্যারেথ ডেলানির উইকেট।
আইরিশদের বিপক্ষে তিন উইকেট নেওয়ার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ৩৫০তম উইকেটের দেখা পান রশিদ। আফগানদের মধ্যে এই কীর্তিতে তিনিই প্রথম। ৫ টেস্টে ৩৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১০৩ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৮৩ উইকেট এবং ৮৩ টি–টোয়েন্টিতে তার শিকার ১৩৩ উইকেট।
রশিদের ঘূর্ণিজাদুর মাঝেই হ্যারি টেক্টরের ৩৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ১৪৯ সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড। এছাড়া ২৭ বলে ২৫ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন আইরিশ অধিনায়ক স্টার্লিং। এই ইনিংস খেলার পথে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি চার মারার রেকর্ড নতুন করে গড়েন তিনি। আগের রেকর্ডটিও তারই ছিল।
তবে অন্য আরেক কীর্তিতে স্টার্লিং-ই প্রথম। বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ চারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ১৩৪ ইনিংসে ৪০১টি চার মেরেছেন স্টার্লিং। ১০৩ ইনিংসে ৩৯৫টি চার মেরে দুইয়ে আছেন পাকিস্তানের ব্যাটার বাবর আজম। তিনে থাকা বিরাট কোহলি ১০৯ ইনিংসে ৩৬১ চার মেরেছেন।
আইরিশদের ছুড়ে দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৮.৪ ওভারে ১১১ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল দলটির ব্যাটার মোহাম্মদ ইসহাক। ২২ বলে ৩২ রান করেছেন তিনি। বল হাতে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আইরিশ স্পিনার বেন হোয়াইট।