খালিয়াজুরী (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা
সরকারি চাল অবৈধভাবে বেচা-কেনার অভিযোগে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও স্বারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ও জনতা।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে খালিয়াজুরী সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে মিছিলটি শেষ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপিটি দেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের ধনু নদের ফেরিঘাট এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ১৭ টন চাল জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় ৫টি প্রকল্পের নামে খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলিত এসব চাল অবৈধভাবে কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন নেত্রকোনা সদরের চল্লিশা এলাকার লুৎফর রহমান নামে একজন চাল ব্যবসায়ী। যাবার সময় জনতার সহায়তায় পুলিশের হাতে তিনি আটক হন। পরে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এ চাল কেনার দায়ে রাতেই ওই ব্যবসায়ী লুৎফরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই সপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খালিয়াজুরী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সামিম সারোয়ার। এ সময় লৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত বক্তব্যে জনান, তিনি এসব চালগুলো কিনেছেন খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বারের কাছ থেকে।
খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অজিত বরন সরকার, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান চৌধুরীসহ অর্ধশত মানুষের স্বাক্ষরিত স্বারকলিপিতেটি আরও জানা যায়, অবৈধভাবে চাল কেনার অপরাধে লুৎফর রহমানের শাস্তি হলেও একই অপরাধের অপরাধী চাল বিক্রেতা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রাব্বানী জব্বারের কোনো শাস্তি হয়নি। কাবিখা কর্মসূচির প্রকল্প কমিটির কাছ থেকে চাল কিনে বিক্রি করার অভিযোগে রাব্বানী জব্বারের বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে স্বারকলিপিতে ও বিক্ষোভ মিছিলে।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বার জানিয়েছেন, ওই চাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন।