কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পাশটা একদমই নিশ্চুপ। একদিকে ফরচুন বরিশালের শিরোপা উদযাপন, আরেকদিকে নিশ্চয়ই স্বপ্ন ভাঙার বেদনা কুমিল্লার।বিপিএলের ফাইনালে আগে চারবার খেলে প্রতিবারই শিরোপা ঘরে তুলেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কিন্তু এবার তাদের সেই সাম্রাজ্য ভেঙে দিয়েছে বরিশাল।
তাদের কাছে হেরে পঞ্চম শিরোপা জেতা হয়নি কুমিল্লার। ফাইনালে তারা বরিশালের কাছে হেরেছে ৬ উইকেটে। প্রতিবারই কুমিল্লার জন্য ত্রাতা হন বিদেশিরা। আন্দ্রে রাসেল-মঈন আলি-সুনীল নারিন-জনাথন চার্লসদের মতো বিদেশিরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বলে ফাইনাল হারের পর জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদেশিরা হয়তো সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি, যেমনটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সবসময় যা হয়। তবে এমন হতেই পারে। এই টুর্নামেন্ট থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতেও পারব। আমাদের সঠিক জায়গায় যথাযথ ক্রিকেটার ভালো খেললে হয়তো আরও ভালো ফল পেতাম। ’
‘দুইটা পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো খেলিনি। সেখান থেকে আমরা আর ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। ফাইনাল ম্যাচে তো আপনাকে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিপক্ষকে আমরা যে চাপে রাখব, সেটা করতে পারিনি। আমরা নিজেরাই হয়তো পুরো ম্যাচে চাপে ছিলাম। সেখান থেকে আমরা বের হতে পারিনি। পাওয়ার প্লে দুইটায় ভালো না খেলায়ই আমরা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছি। ’
বিপিএলে জুড়ে অবশ্য ভালো পারফর্ম করেছেন কুমিল্লার দেশি ক্রিকেটাররা। ৪৬২ রান করে তাওহীদ হৃদয় ও ৩৯১ রান করে লিটন দাস সেরা তিন রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুই ও তিনে আছেন। বল হাতে ভালো করেছেন তানভীর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমানও। দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে, এই বছর আমি আরও বেশি খুশি। বিশেষ করে স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য। কারণ পুরো টুর্নামেন্টেই স্থানীয় ছেলেরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। তাদের পারফরম্যান্স অনেক ভালো ছিল। আমাদের অন্যবারের তুলনায় (দেশিরা) এবার অনেক ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যেটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। ’
‘আমার দেশি ক্রিকেটারদের ওপর আমি খুবই খুশি। তাদের পারফরম্যান্স, আগ্রাসন, জেতার মন-মানসিকতা যেটা ছিল, সেটার জন্য আমি মনে করি যে ঠিক আছে। এখান থেকে এই ইতিবাচক জিনিসটা নেওয়া যায়। ’