তামিম ইকবালের মুখে তখনও অবিশ্বাসের হাসি। একটু আগে কী করেছেন, যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না।চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে শুরু থেকেই চেপে ধরেছিলেন ফরচুন বরিশালের বোলাররা। এর মধ্যেও চট্টগ্রামকে ব্যাট হাতে আশা যোগাচ্ছিলেন জশ ব্রাউন।
ওবেদ ম্যাককয়ের করা পঞ্চম ওভারে ব্রাউনের ব্যাটের আগায় লেগে বল উপরে উঠে যায়। কিন্তু অনেক উপরে ওঠা ওই ক্যাচ মিড অফে ছেড়ে দেন তামিম। তখন ব্রাউনের রান ছিল ২০, পরে আরও ১৪ রান যোগ করেন তিনি; হাঁকান দুটি ছক্কা। শেষ অবধি অবশ্য ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠেছে তামিমের দল।
তবে ওই ক্যাচ ছাড়ার অনুভূতি জানিয়ে ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম বলেছেন, ‘নিজের ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে অনেক উঁচু স্ট্যান্ডার্ড রাখি। এটি (ক্যাচ মিসের পর কেমন লাগছিল?) খুব কঠিন প্রশ্ন (হাসি)। কারণ ওই ব্যাটার (ম্যাককয়) খুবই বিপজ্জনক, যদি ছন্দ পেয়ে যায়! এরপর সে মনে হয় ২-৩টি ছক্কা মেরেছে। প্রতিটি আমার হৃদয়ে আঘাত করছিল। শেষ পর্যন্ত সে যখন আউট হলো, আমি খুব রিল্যাক্সড হই। ’
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি একদমই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি ফরচুন বরিশালের। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে চট্টগ্রাম। ওই রান কেবল ১৪ ওভার ৫ বল খেলেই তাড়া করে ফেলে বরিশাল। এমন জয়ের দিনে উইকেট কেমন ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ‘আগের চেয়ে ভালো’ বললেন তামিম।
বরিশালের অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট দেখে আগের দিনের চেয়ে ভালো মনে হয়েছে। তবে মিরপুরে দুপুরের ম্যাচে শুরুর দিকে বোলারদের জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য থাকে। আমার মনে হয়, প্রথম কয়েক ওভারে উইকেট কিছুটা চিটচিটে ছিল। যেটা আমরা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছি। ’
চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের পর ফাইনালে যেতে এখন একটি ধাপই বাকি বরিশালের। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হয়েছে। এখানকার হেরে যাওয়া দল খেলবে বরিশালের বিপক্ষে। কাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চান তামিম?
তিনি বলেন, ‘দুই দলই মানসম্পন্ন। ফাইনালে যেতে হলে আমাদের দুই দলকেই খেলতে হবে। তাই যে দলই আসুক, আমার সমস্যা নেই। দুই দলই খুব ভালো। আমাদের এখন শুধু নিজেদের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমরা যে ভালো জিনিস করছি বা ভুল করছি, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এরপর দেখা যাক, ২৮ তারিখে (দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার) কারা আসে। ’