সায়ানাইড বিষ খাইয়ে ১২ জন বন্ধু এবং পরিচিতদের হত্যার অভিযোগে সারারাত রংসিউথাপর্ন (৩০) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থাই পুলিশ।
বিবিসি জানায়, এক বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে মঙ্গলবার ব্যাংকক থেকে রংসিউথাপর্নকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি মাসের শুরুতে রংসিউথাপর্ন এর সাথে বেড়াতে গিয়ে মারা যাওয়ার পরে নিহতের পরিবার রংসিউথাপর্নকে সন্দেহ করে।
অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানায়, তাদের বিশ্বাস রংসিউথাপর্ন তার সাবেক প্রেমিকসহ আরও ১১ জনকে হত্যা করেছে। আর্থিক কারণে এই হত্যাগুলো করা হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের। ২০২০ সাল থেকে এই হত্যাকাণ্ডগুলো শুরু হয় বলে ধারণা তাদের। তবে রংসিউথাপর্ন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে থাই কর্তৃপক্ষ তার জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
দুই সপ্তাহ আগে রংসিউথাপর্ন তার বন্ধুর সাথে ব্যাংককের পশ্চিমে রাচাবুরি প্রদেশে বেড়াতে যান। সেখানে তারা একটি নদীর তীরে বৌদ্ধদের একটি আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পরে তার বন্ধু সিরিপর্ন খানওং নদীর তীরে অচেতন হয়ে পড়ে এবং মারা যায়।
ময়নাতদন্তের সময় তার শরীরে সায়ানাইডের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার মৃতদেহ উদ্ধার করার সময় তার কাছে থাকা ফোন, টাকা ও ব্যাগ পাওয়া যায়নি।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাকীরাও একইভাবে মারা গেছে। তবে সবার তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। রংসিউথাপর্ন ভুক্তভোগীদের সবাইকে চিনত এবং সে আর্থিক কারণেই এই হত্যাকাণ্ডগুলো করেছে।
সায়ানাইড মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও মৃতদেহের মধ্যে সনাক্ত করা যেতে পারে যদি তা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। এই বিষ রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি করে যার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং কারো কাছে পাওয়া গেলে তার দুই বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।