শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। স্ট্রাইকে থাকা টিম ডেভিড ব্যাট হাতে ছড়ালেন আলো।১০ বলে ৩১ রানের দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ওয়েলিংটনে অস্ট্রেলিয়া জয় পায় ৬ উইকেটে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে শেষ বলে চার মেরে সফরকারীদের জয় নিশ্চিত করেন টিম ডেভিড।
ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ভালো শুরু পায় নিউজিল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে তারা ৩৩ বলে যোগ করেন ৬১ রান। ষষ্ঠ ওভারে অ্যালেনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিচেল স্টার্ক। ১৭ বলে ৩২ রান করে বিদায় নেন কিউই ওপেনার। এরপর কনওয়েকে সঙ্গ দেন রাচিন রবিন্দ্র। ৬৪ বলে দুইজনে গড়েন ১১৩ রানের জুটি।
৩৪ বলে ফিফটির দেখা পান কনওয়ে। আর রাচিনের লাগে ২৯ বল। ষষ্ঠদশ ওভারের শেষ বলে রাচিনকে বিদায় করে ব্রেকথ্রু আনেন প্যাট কামিন্স। ৩৫ বলে ৬ ছক্কা ও ২ চারে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন কিউই ব্যাটার। এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি কনওয়েও। ৪৬ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। শেষদিকে গ্লেন ফিলিপসের অপরাজিত ১৯ ও মার্ক চ্যাপম্যানের ১৮ রানে বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি অজি ওপেনার ট্রাভিস হেড। ১৫ বলে ২৪ রান করে তিনি বিদায় নেওয়ার কিছুক্ষণ পর উইকেট হারান ডেভিড ওয়ার্নারও। ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তিনে নেমে দলের হাল ধরেন মার্শ। অপরপ্রান্তে ম্যাক্সওয়েল এসে ১১ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন।
পাঁচে নেমে জস ইংলিস সঙ্গ দেন মার্শকে। দারুণ খেলতে থাকা মার্শ ফিফটি পূর্ণ করেন ২৯ বলে। এরপর জস ইংলিশ বিদায় নিলে মার্শের সঙ্গে মিলে বাকি কাজটা সারেন টিম ডেভিড। ১০ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪৪ বলে ৭ ছক্কা ও ২ চারে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্শ।