বিভিন্ন কারণে আমরা অনেকেরই দিনের বেশির ভাগ সময় মানসিক চাপের মধ্যে কাটে। প্রতিনিয়ত ঘরে-বাইরে বাড়তে থাকা কাজের চাপ, উদ্বেগজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুধু কর্মক্ষেত্রই নয়, পারিবারিক জীবন আবার কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যাও মানসিক চাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। চাপ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও। বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত সমস্যা।
দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে চেষ্টা করুন। ঘুম থেকে উঠেই খানিকটা সময় নিজের জন্য রাখুন। জেনে নিন, ঘুম থেকে উঠেই কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে সারা দিন মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করবে:
সকালে ঘুম ভাঙে অনেকে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঘাঁটাঘাটি করে থাকেন। সবার আগে এই অভ্যাসে বদল আনতে চেষ্টা করুন। এই প্রবণতা আপনার মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠে অন্তত ৩০ মিনিট মোবাইল থেকে দূরে থাকার।
ঘুম থেকে উঠে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়াতে প্রাণায়াম করুন। প্রাণায়াম করলে মন শান্ত হয়। সকালে উঠে নিয়ম করে প্রাণায়াম করলে মানসিক চাপ কমে, মেজাজ ফুরফুরে হয়। প্রাণায়াম মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ। প্রাণের আয়াম অর্থাৎ প্রাণের দীর্ঘতাই প্রাণায়াম। সঠিক নিয়মে শ্বাস গ্রহণ, ধারণ এবং ত্যাগকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমই প্রাণায়াম।
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে ‘এন্ডরফিন’ হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। যা মন ভাল রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনে বাগানে কিংবা বারান্দায় কিছুক্ষণ সময় কাটাতে চেষ্টা করুন। সকালের সূর্যরশ্মি ঘুমের চক্র স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। অনিদ্রার সমস্যা দূর করে, স্মৃতি শক্তি বাড়ায়।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতি দিনের খাবারে টাটকা শাকসবজি, ফল, দানাশস্য রাখার চেষ্টা করুন। ক্যাফিনজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত চিনি আছে এমন খাবার না খাওয়াই ভালো। ঘুম থেকে উঠেই কফি পান করবেন না। সকালের খাবার খেয়ে চা-কফি খেতে চেষ্টা করুন।