গ্রীষ্মের ফল তরমুজ কিনে কেউ স্বস্তিতে হেসেছেন আবার কেউ ভ্রু কুঁচকে তরমুজের দিকে তাকিয়ে থেকেছেন কেউ বা দীর্ঘশ্বাস নিয়েছেন। এসব কিছুই হয় রসালো, লাল ও মিষ্টি তরমুজ কেনার ওপর। তরমুজের ভেতরটা লাল না ফ্যাকাশে মিষ্টি হবে না পানসে দোকানদারের ওপর ভরসা না করে ৫টি ট্রিকসে নিজে জেনে নিয়েই কিনুন।
এ ৫টি সহজ ট্রিকসে তরমুজ আপনি ধরলেই বাহির থেকে বুঝতে পারবেন তরমুজটা লাল হবে না ফ্যাকাশে মিষ্টি হবে না পানসে জেনে নিন এই ৫টি ট্রিকস। অবশ্যই একটিও মিস করবেন না।
তরমুজ কেনার আগে অনেকেই ভাবেন বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তাই বিক্রেতার ওপর ভরসা করেই তরমুজ কিনে থাকেন। কিন্তু এতসব না করে খানিকটা যাচাই করার কৌশল থাকলেই সহজে কিনতে পারবেন ভালো, রসালো, লাল ও মিষ্টি তরমুজ।
প্রথমত : প্রথমেই তরমুজ কেনার আগে বেছে বেছে গোলাকৃতি বা ওজন আকৃতির কিনা দেখে নেবেন। অপেক্ষাকৃত ছোট, বাঁকা তরমুজ কিনবেন না। সাধারণত পর্যাপ্ত পানি না পেলে তরমুজ ছোট ও বাঁকা হয়ে থাকে। এসব তরমুজ মিষ্টি ও রসালো হয় না।
গোল বা লম্বা আকৃতির তরমুজ কেনার চেষ্টা করবেন সব সময়।
দ্বিতীয়ত : তরমুজ হাতে নিয়ে ওজনটা দেখবেন ভারী কিনা। যদি ভারী হয় তাহলে রসে টইটম্বুর হবে। যদি হালকা বা ফাপা মনে হয় তাহলে বুঝে নেবেন, সেটি ঠিকমতো পাকার আগেই বাজারে চলে এসেছে। বা কেমিক্যাল ব্যবহার করে এ তরমুজ পাকানো হয়েছে।
তৃতীয় : তরমুজের একটি অংশ হলুদ রঙের হলে সেটা কিনবেন। কারণ, তরমুজের যে অংশ দীর্ঘদিন মাটির সঙ্গে লেগে থাকে, সেই অংশ হলুদ হয়ে যায়। হলুদ দাগ থাকা মানে তরমুজটি ঠিকমতো পেকে যাওয়ার পর জমি থেকে ওঠানো হয়েছে। সাদা দাগ আছে এমন তরমুজ কখনো কিনবেন না। এ ধরনের দাগ থাকা মানে তরমুজ তোলার সময়ের আগেই জমি থেকে উঠিয়ে আনা হয়েছে বিক্রির জন্য। তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ, তরমুজের ডাঁটা শুকিয়ে গেলে বুঝবেন সেটি ঠিকমতো পেকেছে। কাঁচা থাকলে কিনবেন না।
চতুর্থত : তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ থাকলে বুঝবেন সেটি ঠিকমতো পেকেছে। তরমুজের ডাঁটা শুকিয়ে গেছে। এটি সবচেয়ে সহজ উপায় রসালো, লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার।
পঞ্চমত : তরমুজের গায়ে টোকা দিয়ে দেখতে পারেন। ভারী আওয়াজ এলে সেটি রসালো ও পাকা। অতিরিক্ত ভারী আওয়াজ হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকে গেছে। আর তরমুজের মাথার দিক হাত দিয়ে টিপে দেখুন। যদি বেশি শক্ত হয় তাহলে বুঝবেন কাঁচা রয়েছে। আবার বেশি নরম হলেও বুঝবেন বেশি পেকে গেছে। হালকা নরম হলে তবেই কিনবেন।