মাদারীপুর জেলার কালকিনিতে আবার নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সদ্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কালকিনির দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা ও পাতাবালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, রাতে দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের মোস্তফা সরদারের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ২০-২৫ জনের একটি দল। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর করেন সদ্য বিজয়ী সংসদ সদস্যের লোকজন। পরে পাশের পাতাবালী গ্রামের শিপন বেপারীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। শিপনকে না পেয়ে বাড়ির লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসেন হামলাকারীরা।
এরপর কালকিনি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অলিল হাওলাদারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ছাড়তে বলেন তারা। তা না হলে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নৌকার সমর্থকরা। তবে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিপন বেপারীর স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই রাতে একদল লোক এসে বাড়িঘরে হামলা চালান। আমার স্বামীকে না পেয়ে তারা হুমকি দিয়ে গেছেন। ভয়ে এখন সন্তান নিয়ে ঘরে থাকা মুশকিল।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সদস্য বিজয়ী সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরেই ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। এটি নির্বাচনী কোনো ইস্যু নয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলাউল হাসান জানান, একটি বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ টইল দিচ্ছে।
মাদারীপুর সদরের একাংশ ও কালকিনি এবং ডাসার উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-০৩ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়াকে পরাজিত করে বিজয়ী হন ঈগল প্র্তীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। অভিযুক্ত সোহেল রানা মিঠু তাহমিনা বেগমের অনুসারী। অপরদিকে অলিল হাওলাদার পরাজিত নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়ার কর্মী।