ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। উগ্রপন্থী চার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী চার ইসরায়েলির বিরুদ্ধে আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার অভিযোগে ‘চরমপন্থি’ এসব বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরনও ইসরায়েলকে সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চরমপন্থি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের হুমকি দিচ্ছে। তারা অনেক সময় বন্দুক নিয়ে এগিয়ে যায়, এতে ফিলিস্তিনিরা চাপে পড়ে নিজেদের ভূমি ছেড়ে দিচ্ছে। তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। এ আচরণ বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য। ইসরায়েলকে অবশ্যই আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
ক্যামেরন আরও বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রায়শই নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা পালন করা হয়নি। চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরও একই কথা বলেছে। তারা বলছে, উগ্র কিছু ইসরায়েলি ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়কে তাদের জমি ছেড়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করছে। হয়রানি, ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি সহিংসতার ব্যবহারও করছে তারা।
যে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের নাম প্রকাশ ও অভিযোগের বর্ণনাও দিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।
এর আগে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার দায়ে চলতি মাসেই ইসরায়েলের চার নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে ওই চার ইসরায়েলি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও সেখানকার কোনো সম্পদ কিনতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবদি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও অর্থব্যবস্থার সঙ্গেও কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না তারা।