বরিশালের গৌরনদীতে পরিত্যক্ত বাথরুমে পড়ে থাকা ককটেল উদ্ধার করতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৌরনদী পৌর এলাকার বড় কসবার হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন, ওয়াচার কনস্টেবল মো. মিজান ও বাড়ির মালিক রাজু হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার (৩৫)।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই, বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পেছনে একটি বাড়ির পরিত্যক্ত বাথরুমে বাজারের ব্যাগে ককটেল সদৃশ বস্তু দেখা গেছে।
পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান বাড়ির মালিক। পুলিশ গিয়ে বাড়ির মালিককে বাজারের ব্যাগ বের করতে বলে। বাড়ির মালিক ব্যাগ বের করার সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ বাড়ির মালিক আহত হন। তাদের মধ্যে দুজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপ-পরিদর্শক কামালকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, মাসুম হাওলাদারের ঘর থেকে ১৫-২০ গজ দূরত্বে একটি বাথরুম রয়েছে। সকালে তিনি দেখতে পান বাথরুমে তালা দেওয়া। তালা ভেঙে ভেতরে একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পান। ব্যাগে তিনটি ককটেল সদৃশ বস্তু দেখতে পান।
তিনি বলেন, পরে ৯৯৯ কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। উদ্ধারের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে উপ-পরিদর্শক কামাল ও বাড়ির মালিক মাসুম স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হন কনস্টেবল মিজান। বিকট শব্দে তিনজন কানে কম শুনতে পাচ্ছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনা তদন্ত করে পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মাসুম হাওলাদারের বোন কানিজ ফাতেমার অভিযোগ, পুলিশ তার ভাইকে দিয়ে ককটেল উদ্ধার করতে চেয়েছিল। এজন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি জানিয়েছেন।