শীতকালীন সবজির মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হলো শালগম। এতে সালফারের উপস্থিতি থাকায় এক ধরনের গন্ধ আছে।ওই গন্ধের কারণে অনেকের কাছে বেশ অপছন্দের এই সবজি। এতে প্রচুর ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও খাদ্য-আঁশ আছে। এর পাতা শাকের মতো খাওয়া যায়, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
প্রতি ১শ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য শালগমে ১ দশমিক ৪ গ্রাম আমিষ, ৩ দশমিক ৮ গ্রাম শর্করা, শূন্য দশমিক ৯ গ্রাম আঁশ, শূন্য দশমিক ২ গ্রাম চর্বি, ২১ কিলোক্যালরি শক্তি, ২৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪০ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’। এছাড়াও শালগমে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। তাই নিয়মিত শালগম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এবার জেনে নেওয়া যাক শালগমের নানা গুণের কথা:
যারা রিউমাটয়েড আরথ্রাইটেসে ভুগছেন তাদের জন্য শালগম উপকারী। কারণ শালগমে ভিটামিন ‘এ, সি, ই, ক্যালসিয়াম ও কপার থাকে, যা এ ধরনের আরথ্রাইটেসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
ঘন ঘন ঠাণ্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত হন আপনি তাহলে খাদ্য তালিকায় শালগম যোগ করুন। এটি আপনার ইমিউনিটিকে বাড়াতে সাহায্য করবে। শালগম পুষ্টি উপাদান ও ফ্ল্যাভনয়েডে সমৃদ্ধ বলে স্বাস্থ্যকর মেমব্রেন এর বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
যারা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যা বাঁধিয়ে ফেলেছেন তারা শালগম খেতে পারেন। এর কারণ শালগম পাকস্থলীতে অনেক বেশি পিত্তরস শোষণ করতে পারে, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ও পটাসিয়াম ছাড়াও শালগম ক্যালসিয়ামেও সমৃদ্ধ বলে হাড়ের জন্য উপকারী। সুস্থ ও শক্তিশালী হাড়ের জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় শালগম যুক্ত করুন।
শালগমে প্রচুর ফাইবার থাকে বলে হজমে সাহায্য করে। যদি আপনার হালকা কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থাকে তাহলে শালগম এই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে পারে।
শালগম ভিটামিন‘কে’র চমৎকার উৎস, যা সঠিকভাবে রক্তজমাট বাঁধার জন্য অত্যন্ত আবশ্যক। ক্যালসিয়ামকে প্রসেস করা ও ধমনীর স্বাস্থ্যের জন্যও ভিটামিন ‘কে’ প্রয়োজনীয়। ধমনীর শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে ভিটামিন ‘কে’।
ইমিউন সিস্টেম ঠিকভাবে কাজ করার জন্য এবং ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করার জন্য ভিটামিন ‘এ’ প্রয়োজনীয়। শালগম ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর থাকে বলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে।