ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রাণিত করতে পঞ্চমবারের মতো ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস বেস্ট আন্ডারগ্রাজুয়েট থিসিস’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) মিলনায়তনে কেএসআরএম ও আইএবির পক্ষ থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কথা জানানো হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের তিনজন উদীয়মান মেধাবী স্থপতিকে সম্মাননা দেওয়া হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইএবি সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জুড়ি সদস্য ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি শাহেলা জোয়ার্দার, জুড়ি সদস্য ও মরফো জেনেসিস পরিচালক স্থপতি শুভ্র শোভন চৌধুরী, আইএবির সহ-সভাপতি (জাতীয় অ্যাফেয়ার্স) ও ইসি সদস্য স্থপতি মোহাম্মদ আলী নকি, কেএসআরএমের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরী, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইএবি সম্পাদক (শিক্ষা) স্থপতি ড. নওরোজ ফাতেমী, অ্যাওয়ার্ড সমন্বয়কারী স্থপতি সৈয়দা সাইখা সুদাহ্, কেএসআরএমের সিনিয়র ব্যবস্থাপক এএসএম নেওয়াজ মোহাম্মদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম ও তাহুমুল হক বাবু।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আইএবির সহায়তায় কেএসআরএমের আয়োজিত একটি মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্ট’। এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের আইএবি স্বীকৃত আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সেরা দূরদর্শী প্রকল্পগুলোকে সমাদৃত করা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, কেএসআরএম ও আইএবির মধ্যে ১০ বছর মেয়াদি একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে ২০১৯ সালে। সেই থেকে জুরি বোর্ড নির্বাচিত উদীয়মান তিনজন স্থপতিকে প্রতিবছর অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় কেএসআরএমের পক্ষ থেকে। চুক্তির শর্তানুযায়ী এবার আইএবি স্বীকৃত দেশের স্বনামধন্য ১৩টি আর্কিটেকচার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সেরা তিন প্রতিযোগী চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত প্রজেক্টের মধ্য থেকে সেরা তিনজনকে বাছাই করবেন দেশের জ্যেষ্ঠ পাঁচজন স্থপতি নিয়ে গঠিত জুরি বোর্ড।
কেএসআরএমের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) কর্নেল আশফাকুল ইসলাম (অব.) ইঞ্জিনিয়ার তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালে প্রবর্তিত এ অ্যাওয়ার্ডটি স্থাপত্যের স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং ডিপার্টমেন্টগুলোকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বার্ষিকভাবে দেওয়া হয়। প্রদর্শনী এবং প্রকাশনা মিলিয়ে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস’ মেধাবী শিক্ষার্থী-প্রকল্পগুলো উপস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কেএসআরএম সব জায়গায় পরিচিত। দেশের সব মেগা প্রকল্পে কেএসআরএমের অংশগ্রহণ এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রড সরবরাহ করা হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন সকাল ১০টায় আইএবি সেন্টারে প্রজেক্টগুলোর প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। চার দিনের এ প্রদর্শনী চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আইএবি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডস ফর ফিউচার আর্কিটেক্টস’ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ডে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পাবেন এক লাখ টাকার সম্মাননা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ৭৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৫০ হাজার টাকার সম্মাননা। এছাড়াও ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হবে বিজয়ীদের।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় ও এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি।