খুলনার দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ রাতভর থানায় নির্যাতন চালিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে সব মামলায় আগাম জামিন নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ইমাম হোসেন। সোমবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাড়ির সামনে থেকে বিনা কারণে তাকে আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। এরপর তাকে ৬ জানুয়ারি রাতে দৌলতপুরের পাবলা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মশার কয়েল থেকে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আটক দেখিয়েছে। আটকের পর অমানসিক নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে হত্যার হুমকি দিয়ে পুলিশের শেখানো স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। পরে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মনা বলেন, পাবলা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ৭ জানুয়ারি বা ৮ জানুয়ারি কোনো গণমাধ্যমে ওই ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনার কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। শুধুমাত্র বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা অগ্নিসংযোগের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আগে এ মামলায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করে জাসাস মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার নূর ইসলাম বাচ্চু ও বিএনপি নেতা মো. রিয়াজুল ইসলামকে সীমাহীন নির্যাতন করেও পুলিশের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে ঢাকায় মহাসমাবেশের পর থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে মহানগর ও জেলা জেলা মিলিয়ে প্রায় ৫০টি গায়েবি মামলা। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, বিএনপি নেতা স. ম আ রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল ও শেখ সাদী।