লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের বাসিন্দা মো. তছলিম গত তিন বছর ধরে মৃত। তবে সেটি বাস্তবে নয়, জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি)।কিন্তু তিনি এখনো জীবিত।
কাগজে-কলমে তিনি যে মৃত, সে বিষয়টি জানতে পেরেছেন হজ্জের নিবন্ধন করাতে গিয়ে।
৬৭ বছর বয়সী এ ব্যক্তিকে এখন দালিলিকভাবে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে হবে। তাই এখন নির্বাচন কমিশনে দৌড়াদৌড়ি করছেন তিনি।
এমন ঘটনায় তছলিম হতবাক হয়ে বলেন, ‘এবার কি সত্যি সত্যি মরে আমাকে প্রমাণ দিতে হবে যে আমি মৃত। ‘
এদিকে নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, কেউ হয়ত তাকে মৃত জানিয়ে নির্বাচন অফিসে আবেদন করে থাকতে পারেন। এ কারণেই ভোটার আইডি কার্ডে তাকে মৃত দেখাচ্ছে।
জানা গেছে, হজে যাওয়ার উদ্দেশে গত ৩১ জানুয়ারি তছলিম তার জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি তুলতে একটি কম্পিউটার দোকানে যান। কিন্তু অনলাইনে তা পাওয়া যায়নি। এরপর উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত।
বাস্তবে জীবিত হয়েও দালিলিক মৃত হওয়ার কথা শুনে অবাক হন তিনি। পরে নির্বাচন অফিস থেকে তাকে একটি অনুলিপি দিয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
তছলিম বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৩২৯০৫৭০৯০৬, জন্ম তারিখ: ১৩/০২/০১৯৫৭ইং। আমি তো এখনো জীবিত আছি। আমি মরলাম কখন? নিজেকে এখন নতুন করে জীবিত প্রমাণ করাতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সম্ভবত ২০২১ সালের দিকে তছলিমকে মৃত দেখানো হয়েছে।
কীভাবে জীবিত মানুষকে মৃত দেখানো সম্ভব এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সাধারণত কেউ মারা গেলে তাদের নিকট আত্মীয় ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। আবেদন করলে ওই ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়। তছলিমের বিষয়ে কেউ হয়ত আবেদন করে থাকতে পারেন। ওই সময় আমি ছিলাম না।