শেষ ওভার করতে চলে এলেন সাকিব আল হাসান। তখনও ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জন্য।প্রথম বল তিনি করলেন ওয়াইড। দ্বিতীয়টিতে শুরুতে সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। খেলার রোমাঞ্চও শেষ হয়ে যায় তাতে। দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকালেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি জাকের আলী অনিক। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে কুমিল্লাকে হারিয়েছে রংপুর।
সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৮ রানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে তারা। রান তাড়ায় নেমে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি কুমিল্লা। চার ম্যাচে এটি দ্বিতীয় হার কুমিল্লার। পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেয়েছে রংপুর।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ব্রেন্ডন কিং। ১ চার ও সমান ছক্কায় এ ব্যাটার ১২ বলে ১৪ রান করে স্টাম্পিং হন তানভীর ইসলামের বলে। এরপর ৫৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও বাবর আজম।
১১তম ওভারের তৃতীয় বলে গিয়ে আউট হয়ে যান ৩৬ বলে ৩৭ রান করা বাবর আজম। এরপর বেশিক্ষণ টেকননি ২১ বলে ৩০ রান করা ফজলে রাব্বিওও। রংপুরের রান বাড়ে মূলত শেষদিকে এসে। শেষ তিন ওভারে ৪২ রান করে তারা। এর মূল ভূমিকায় থাকেন আফগানিস্তানের অললাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
৩ চার ও ২ ছক্কায় ২০ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। এছাড়া ৬ বলে ১ ছক্কা ও চারে ১৫ রান করেন নুরুল হাসান। মাঝখানে এসে ৭ বলে ১৩ রান করেন মোহাম্মদ নবি। কুমিল্লার পক্ষে ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রেমন রেইফার। একটি করে উইকেট পান তানভীর, মোস্তাফিজুর রহমান ও খুশদিল শাহ।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই কুমিল্লাকে ধাক্কা দেয় রংপুর। ওমরজাইকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে দাঁড়ানো বাবরের হাতে সহজ ক্যাচ দেন লিটন দাস। গোল্ডেন ডাক মারেন কুমিল্লা অধিনায়ক। ওই চাপ পুরো পাওয়ার প্লে জুড়েই ধরে রাখে রংপুর। ৬ ওভারে তারা দেয় কেবল ৩৬ রান।
মোহাম্মদ রিজওয়ানও ২১ বলে ১৭ রান করে আউট হন। এর মধ্যেই দলকে টেনে তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ১৭তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপরও ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন খুশদিল শাহ। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ১৮তম ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি।
তৃতীয় বলও হাওয়ায় ভাসিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন। কিন্তু পরের বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে থার্ডম্যানে ফজলে রাব্বির হাতে ক্যাচ দেন খুশদিল। ৮ বলে ১৩ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর কুমিল্লার জন্য ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই।
শেষ ওভারে দলটির দরকার ছিল ২৮ রান। হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নবী ও ওমরজাইয়ের ওভার ততক্ষণে শেষ হয়ে যায়। প্রথম বলে ওয়াইড হলেও পরের বলে রান আউট হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় সরাসরি থ্রোতে মিড উইকেট থেকে তার স্টাম্প ভাঙেন নবি।
২৮ বলে ৩৯ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। পরের বলে লং অনে আমির জামেলের ক্যাচ নেন বাবর আজম। এরপর টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান জাকের আলী। কিন্তু তখন আর জয়ের সুযোগ ছিল না কুমিল্লার সামনে।