সিলেটের হয়ে কেবল লড়লেন হ্যারি টেক্টর। তার ধীরগতির ইনিংসে অবশ্য খুব বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি দল।জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রামের হয়ে ফিফটি হাঁকালেন তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুস। তাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে টানা তৃতীয় জয়ের দেখা পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ত্রয়োদশ ম্যাচে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে করে ১৩৭ রান। জবাবে ০ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।
দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ে শুরু হয় সিলেটের ইনিংস। একই ওভারের শেষ বলে উইকেট হারান নাজমুল হাসান শান্তও। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর ও জাকির হাসান। ধীরগতির ব্যাটে তারা গড়েন ৫৭ রানের জুটি। একাদশ ওভারে ৩১ রান করে জাকির বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টেক্টরও। ৪২ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে ৩০ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ ১৩৭ রানে নিয়ে আসেন রায়ার্ন বার্ল ও আরিফুল হক। বার্ল ৩৪ ও আরিফুল অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন বিলাল খান।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে শুরুতেই গত ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলা আভিস্কা ফার্নান্দোকে হারায় চট্টগ্রাম। ১২ বলে ১৭ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার। এরপর টম ব্রুসের সঙ্গে ৬৫ বলে ৮৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান তানজিদ। ৩৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করে অবশ্য তিনি বিদায় নেন। বাকিটা শাহাদাৎ হোসাইনকে সঙ্গে নিয়ে সেরে ফেলেন ব্রুস।
৪৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রুস। ১১ বলে ১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন শাহাদাৎ। সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট নেন হ্যারি টেক্টর ও তানজিম হাসান সাকিব।