ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঘারুয়া ও আলগী ইউনিয়নের দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এসময় বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাংচুর ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে পুর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামের জুলহাস মেম্বার ও জব্বার মাষ্টারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আবার দিবাগত রাত ১১টার সময় উভয় পক্ষের শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। তখন কয়েকটি বাড়ি ও ১টি দোকান ভাংচুর করে এবং জব্বার মাষ্টারের সমর্থকেরা জুলহাস মেম্বারের সমর্থক শাকাত আলীর বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষ চললে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বসত ঘরের আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে উভয় দলের ১৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়। আহতদের মধ্যে বুলবুল, বাসার ও মিরাজকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, ঘারুয়ার হাজরাকান্দা ও আলগীর ছোট খারদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়। সংবাদ পেয়ে আমি সহ কয়েক দফা এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। কিন্তু তারপর আবারো মারামারি হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।