মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আসছে নীতিমালা

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আসছে নীতিমালা

২০২৩ সালে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ১৫২ জনের। এ দুর্ঘটনার এক মাত্র কারণ অসচেতনতা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি দ্রুত শেষ করতে চায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে একটা জিনিস উপেক্ষা করতে পারি না। এখানে যেভাবে তিন চাকার গাড়িগুলো চলছে। ইজিবাইকসহ এই গাড়িগুলোর কারণে বেশিরভাগ অ্যাক্সিডেন্টগুলো হচ্ছে। অ্যাক্সিডেন্ট হচ্ছে মোটরসাইকেলে। আমি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক নিয়ে, বিশেষ করে মোটর সাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হচ্ছিল নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয় সেই নির্দেশ দিয়েছি।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেন।

দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তা ছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক রোড সেফটির উপরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমি আশা করি এই দুটি কাজ হয়ে গেলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে।

১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সারাদেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭ হাজার ৯০২ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৩৭২ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময় রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ নিহত এবং ৪৭৫ জন আহত হন। নৌ-পথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত এবং ১৫২ জন আহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে চালক এক হাজার ৫২৬ জন, নারী ৬৪৭ জন, শিশু ৪৬৬ জন, শিক্ষার্থী ৪১৬ জন, শিক্ষক ৮১ জন, পরিবহন শ্রমিক ২৬০ জন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৩ জন, সাংবাদিক ১৫ জন, প্রকৌশলী ৮ জন, আইনজীবী ৭ জন, চিকিৎসক ২২ জন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ৭৭ জন, সেনাসদস্য ১৬ জন, পুলিশ সদস্য ৪০ জন, বিজিবি সদস্য ৭ জন, নৌ-বাহিনীর সদস্য তিনজন, আনসার সদস্য তিনজন এবং ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য রয়েছেন।

বিভাগভিত্তিক সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭১২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২০৫ জন, খুলনা বিভাগে ৭৬৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৩৭৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৬৪ জন, সিলেট বিভাগে ৪০৩ জন, রংপুর বিভাগে ৬২৬ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৭৯৩ জনের মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে সড়ক দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS