বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পাওয়ার যে মানবিক অধিকার, সেটা আজ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহিলা দলের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায়’ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের ডামি নির্বাচন আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণও সরকারকে বিদায়ের বার্তা দিয়েছে।
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গত কয়েক দিনে কারাগারে ১০ জনের অধিক বিএনপির নেতাকর্মী মারা গেছেন। কারাগারে তারা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাদের হাত ও পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কারাগারের ভেতরের হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রধান নেতা জি এম কাদের কত কথা বললেন। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করা যাবে না। তারা গতবার রাত্রি বেলায় নির্বাচন করেছেন। কত কথা বললেন! তারপরে শুধু নিজের স্ত্রীর জন্য গোটা দলকে বিক্রি করে দিলেন! সেটা তার দলের লোকেরা প্রতিদিন স্লোগান দিচ্ছেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার (ফলকার টুর্ক) যে বিবৃতি দিয়েছেন; আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাহেব বলছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে তথ্যের ঘাটতি আছে। তিনি সত্য কথা বললে তো আর আওয়ামী লীগ করতেন না। আর সরকারের সঙ্গে কিছু বিষয়ে দ্বিমত থাকার কারণে দেশের প্রধান বিচারপতি নিজের জীবন নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
দেশে দানবদের শাসন চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, কেউ এখন সত্য কথা বলতে সাহস পায় না। যদি কেউ সত্য কথা বলে, হয় তাকে গুম হতে হয়, না হয় তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। গত ১৫টি বছর সরকার বিরোধী মতকে এভাবেই দমন করে চলছে। টাকা পাচারকারীদের রক্ষা করার জন্যই সরকার বিরোধীদলকে দমন করে রাখতে চায়। সরকারের অন্যায়, অবিচার এবং টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সেই কারণেই তারা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সারা দেশে নিপীড়ন নির্যাতন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পাওয়ার যে মানবিক অধিকার সেটা আজকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
দোয়া মাহফিলে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।