তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলসহ পুরো দেশ। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। আবহাওয়াবিদরা এর পেছনে চারটি কারণকে দায়ী করছেন।
তারা বলছেন, একদিকে রোদের দেখা নেই, পড়ছে ঘন কুয়াশা। অন্যদিকে কনকনে বাতাস বইছে। কমেছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে যাওয়ায় সব প্রক্রিয়াই বিরাজ করছে দেশে।
এ ছাড়া সিলেটে ৪ ডিগ্রির নিচে, রাজশাহীতে ৮ ডিগ্রির নিচে, রংপুরে ৬ ডিগ্রির নিচে, ময়মনসিংহে ৪ ডিগ্রির নিচে, খুলনা ও বরিশালে ৮ ডিগ্রির নিচে এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। শীতের অনুভূতি বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি।
বর্তমানে পশ্চিমা বাতাসের গতিবেগও বেড়ে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যাচ্ছে। বিরাজ করছে দুপুর পর্যন্ত, কোথায় কোথাও দিনভর ঘন কুয়াশা। তারপরও নেই সূর্যের উজ্জ্বল কিরণ। বিশেষ করে কনকনে পশ্চিমা বাতাসে যেন মাঘের শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আগামী দু’দিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে পরদিনই ফের কমার আভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, রোববারও কয়েকটি জেলা শৈত্যপ্রবাহের আওতায় চলে আসতে পারে। আগামী দুই থেকে তিনদিন আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রায় একইরকম থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে গেলেও সে সময় শীত আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৮ শতাংশ ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। সর্বোচ্চ ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে।