ডিমের হালি পাইকারিতে ৪২, খুচরায় ৪৫ টাকা

ডিমের হালি পাইকারিতে ৪২, খুচরায় ৪৫ টাকা

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে স্থিতিশীল ডিমের দাম। পাইকারি বাজারে ৪২ টাকা ও খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগির প্রতি হালি লাল ডিম।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার, পশ্চিম রাজাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

পূর্ব ও পশ্চিম রাজাবাজারের মুদি দোকান ও ভ্যান দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১৩৫ টাকা ও হালি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি ডিমের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম পাইকারিতে ১২৫ টাকা ও খুচরায় ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।   বাজারে পাইকারিতে প্রতি হালি ডিম ৪২ টাকা ও খুচরায় ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া মুরগির সাদা ডিম প্রতি ডজন পাইকারিতে ১২০ টাকা ও খুচরায় ১২৫ টাকা এবং প্রতি হালি পাইকারিতে ৪০ টাকা ও খুচরায় ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে ২০০ টাকা ও খুচরায় ২১০ টাকায়। কোয়েলের ডিমের ডজন ৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা মো. রাশেদ বলেন, ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হাজারে ১০-২০ টাকা বাড়ে কমে। তবে এর প্রভাব খুচরা পর্যায়ে পড়ে না।

দাম বাড়বে বা কমবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদন বেশি হলে দাম অপরিবর্তিত থাকবে বা কমবে। আর যদি উৎপাদন কম হয় তাহলে দাম বাড়বে। তবে কাঁচামালের দাম আগে থেকে ধারণা করা যায় না। হুট করেই বেড়ে যায় বা কমে যায়।

এ বাজারের আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন শীতের সময়। ক্রেতারা সবজিই বেশি কিনছেন। তাই দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে। শীত শেষ হলে যখন সবজি থাকবে না, তখন দাম বাড়তে পারে।

পূর্ব রাজাবাজারে ভ্যানে করে ডিম বিক্রি করা শফিকুল ইসলাম বলেন, ডিমের ব্যবসায় তেমন লাভ নেই। এক হাজার ডিম ১০ হাজার ১০০ টাকা করে মোট চার হাজার ৩০০ ডিম কিনেছি। এর মধ্যে ২১০টি ভাঙা ও নষ্ট পড়েছে। এরপর খরচ বাদ দিয়ে ৪৫ টাকা করে বিক্রি করছি।

ডিমের দাম সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট যখন চায়, তখন দাম বাড়ে। নইলে বাড়ে না।

এদিকে ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নাঈমুর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে যেভাবে ডিমের দাম বেড়েছিল, সে তুলনায় এখন অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। যদিও বাজার সবজিসহ প্রায় সব জিনিসের দাম অনেক বেশি।

আহমেদ রায়হান সজীব নামের আরেক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ডিমের হালির দাম ৩০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। সেখানে ৪৫ টাকা করে খেতে হচ্ছে। যদিও কয়েকদিন আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা করে খেতে হয়েছিল। সে তুলনায় এ পরিস্থিতি কিছু ভালো বলা চলে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS