বিএনপির ঈদ পরবর্তী আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি দলটি আন্দোলনের কথা বলে প্রায়সই। কিন্তু তারাতো শিখেছে হত্যা, খুন ও ষড়যন্ত্র। এটাই হচ্ছে তাদের পদ্ধতি। আন্দোলন হচ্ছে গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ বা আমাদের যারা সমমনা দল আছে, যেসব দল মানুষের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছে, সেসব দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করে।
রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার কদমতলায় নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছে, আন্দোলনের ফসল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষার অধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পেয়েছি এবং উন্নয়ন পাচ্ছি। বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন জনগণ কিছুটা হলেও শঙ্কিত বোধ করে। কারণ তাদের পদ্ধতি হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, দেশের সম্পদ ধ্বংস করা, মানুষের জান-মালের ওপর হামলা করা। আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ চায় না। দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো অপচেষ্টাই মানুষ চায় না।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন, কখনই জনবিচ্ছিন্ন দল আন্দোলন করতে পারে না। আন্দোলন করতে হলে জনগণের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন লাগে। জনগণের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন শেখ হাসিনার সঙ্গে। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থান, সেখানে তার নেতৃত্বেই এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক একটি চাপ রয়েছে। এর ফলে আমাদের এখানেও হয়তো একেবারে নিম্নআয়ের মানুষ কিছুটা চাপের মধ্যে আছে। কিন্তু আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদন বাড়াচ্ছি। যে কারণে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় এখনও আমরা একটি স্বস্তিকর জায়গায় আছি। আমাদেরকে সে জায়গা ধরে রাখতে হবে এবং আরও ভালো জায়গায় যেতে হবে। সেটা সম্ভব শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, দেশের যিনি নেতা হন, তিনি যদি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেন, তাকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। বিদেশে বসে রিমোর্ট-কন্ট্রোলে দল চালানো যারা আছেন, কিংবা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিদেশে বসে নির্দেশ দেন, ষড়যন্ত্র করেন- তাদেরকে দিয়ে কোনদিন দেশের উন্নতি হবে না। এটি দেশের মানুষ বোঝে এবং জানে। আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এটাই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ ক্ষেত্রে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।