নারী নেতৃত্বকে হারাম বলে আলোচনায় এসেছেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সম্প্রতি একটি নির্বাচনী জনসভায় এমন বক্তব্য দেন তিনি।
বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
এদিকে বক্তব্যটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে একরাম ইজারাদারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা গজবের ভেতর নিয়োজিত আছি, এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনগণের কোনো শান্তি নেই, সুখ নেই, কারণ নারী নেতৃত্ব হারাম। আমরা নারী নেতৃত্বের অধীনে এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা হাবিবুন নাহারকে দিয়ে আমরা দুবার তাকে প্রতিষ্ঠিত করছি, তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে নাই। যেটা সত্য কথা, সেটা আপনাদের এখানে আমি বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না। ’
মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা বক্তব্যটি শুনেছি। বক্তব্যটি যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার বলেন, মূলত আওয়ামী লীগ বা নৌকা প্রতীককে উদ্দেশ্য করে আমি এসব কথা বলিনি। জামায়াতের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে আমি এসব কথা বলেছি। এছাড়া উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বিভিন্ন সময় তার বরাদ্দ থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। যার কারণে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের নির্বাচন করছি।
মোংলা-রামপাল নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসনে এবার সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মূল লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী হাবিবুন নাহার ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের মধ্যে।