প্রবাসী আয়ে একটি ভালো সমাপ্তির মধ্য দিয়ে বিদায় নিলো ২০২৩। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর এলো ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। পুরো বছরে প্রবাসী আয় এলো ২ হাজার ১৯১ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার বা ২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয়ের এ হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।
বিদায়ী বছর ২০২৩-এ প্রবাসী আয়ে ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে গেছে। প্রবাসী আয়ে নিম্নমুখী প্রবণতা বাড়ায় ডলার সংকট। এ সময় খোলা মার্কেটে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে প্রবাসী আয় দেশে আসার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অবৈধ হুন্ডির বাজার ছিল রমরমা। এই সময় খোলা বাজারে ডলার দাম ১২৫ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে কমতে থাকে প্রবাসী আয়। গত সেপ্টেম্বরে স্মরণকালের সর্বনিম্নে নেমে যায় প্রবাসী আয়।
এ সময় প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছু উদ্যোগ নিলে খাতটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এই খাতে পরের মাস অক্টোবরে বড় ধরনের উন্নতি হয়।
আগে প্রবাসী আয়ের ডলারের যে দামে কেনা হতো, অক্টোবর মাসে তা বাড়িয়ে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। প্রণোদনা দেওয়া হতো ২ দশমিক ৫০ পয়সা হারে। আরও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বেশি দিতে পারে-এমন অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরেও বেশি টাকা দিতে পারে, এমন অনুমতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে প্রবাসী আয় বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাতে সহজ করার পাশাপাশি বেশি প্রবাসী আয় পাঠানো প্রবাসীদের সম্মাননা ঘোষণা ও বেশ কিছু বাধা-নিষেধ তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে।
পরিসংখ্যান বলছে, বছরের শেষ ছয়মাস জুলাই-ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় এসেছে এক হাজার ৭৯ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই মাসেই আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; সেপ্টেম্বরে আসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; অক্টোররে আসে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার এবং বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার।