ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানকে (পুত্র শাহীম মুহাম্মদ পূণ্য ও কন্যা সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম) নিয়েই কাটছে তার সময়।ফিরেছেন অভিনয়েও।
এদিকে নায়িকার ভক্তরা জানেন, পশুপ্রেমী পরীর একটি কুকুর আছে, নাম পুটু। আদরের এই কুকুরের সঙ্গে পরীর সখ্যতাও বেশ। তবে পুত্রসন্তানের মা হওয়ার পর পুটুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে পরীর। যা নায়িকাকে ভাবিয়ে তুলেছে ইদানীং। আর সেই ভাবনা পরীমণি প্রকাশ করেছেন তার লেখনীতে।
এক ফেসবুক পোস্টে পরী লেখেন, একটা ভুল করেছি আমি। আমার এই পোষা প্রাণীর নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়ত। পুটু আমার সঙ্গে আছে ১০ বছর ধরে! আমার ছেলে হবার আগে ও সবসময় আমার সঙ্গে ঘেঁষে থাকত। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাত। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাই না। তখন থেকে ওর আলাদা বিছানা হয়ে গেল। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিল। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেল।
পরী আরও লেখেন, যখন আমর ছেলে হাঁটা শুরু করল, তখন ফ্লোরে ছেলের সঙ্গে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইত। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম পুটু যদি কামড় দিয়ে দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পায়। সেই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। ইদানীং হঠাৎই আমি খেয়াল করলাম ছেলেও পুটুর সঙ্গে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে ‘এই পুটু যাও যাও’। আমি বুঝতে পারলাম এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে তাই তো শিখবে!
এমন ভুল না করার আহ্বান জানিয়ে পরীমণি লেখেন, এরপর আমি লেগে পড়লাম ওদের সুন্দর একটা বন্ধুত্ব তৈরি করার। ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, কথা বলা, একসঙ্গে ছেলেকে নিয়ে খেলা…আস্তে আস্তে ছেলে অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করল পুটুর সঙ্গে। আমার ভালো লাগলো। কিন্তু আরও একটা বড় ভুল হয়ে গেল যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে ফেলে দিল। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন খুব করে পুটুর সঙ্গে থাকতে চায়, পুটুর সঙ্গেই খেলতে চায় তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা এখনো কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি…হয়ত ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে। আমার মতন এই ভুল কেউ করবেন না আশা করি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার…।
এদিকে, সবশেষ কাজ করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এ। এটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। সিরিজটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।