আদালতের রায়ের পর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন শেষ হওয়ার তিন বছরের বেশি সময় পর বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইসির কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) মেয়র ঘোষণা করেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবকে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন। ওইদিন দুপুর ১২টায় নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল হিসেবে চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।
মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ওই নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পাওয়ায় নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুসারে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
এদিকে ইসি শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করে রাতে গেজেট প্রকাশ করেছে।
ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত গেজেটে বলা হয়েছে, “বিজ্ঞ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও যুগ্ম জেলা জজ, প্রথম আদালত, চট্টগ্রাম এ দায়েরকৃত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর-০২/২০২১ এর ১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের আদেশে ২৭/০১/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে‘নৌকা’প্রতীক এর প্রার্থী ১ নম্বর বিবাদী মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা বাতিল করে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করায় এতদ্বারা বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে প্রকাশিত ১৭৮৭ নম্বর পৃষ্ঠার ১ নম্বর কলামের ১ নম্বর ক্রমিকের বিপরীতে ২ নম্বর কলামে বর্ণিত ‘মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, বাবা-হারুন অর রশীদ চৌধুরী, ঠিকানা-৮১১/এ, বহুদ্দার বাড়ি, ডাকঘর-চান্দগাঁও ৪২১২, থানা-চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম’ এর পরিবর্তে ‘শাহাদাত হোসেন, বাবা আহমদুর রহমান, ঠিকানা: রহমান ম্যানশান, ১১০/১১১ ডিসি রোড পশ্চিম বাকলিয়া, বাকলীয়া, চট্টগ্রাম’ এবং ৩ নম্বর কলামে বর্ণিত ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ এর পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ শব্দ ও চিহ্নসমূহ প্রতিস্থাপন করা হলো। ”