ছোট পর্দা থেকে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন প্রাচী দেশাই। তাঁর ক্যারিয়ারের বয়স ১৭ বছর। কিন্তু এত তারকার ভিড়েও হারিয়ে যাননি তিনি। প্রাচী মনে করেন, তাঁর মধ্যে কিছু আছে, তাই তিনি আজও দৌড়ে টিকে আছেন।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘কসম সে’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয়জগতে পা রেখেছিলেন প্রাচী। টেলিভিশন আর বড় পর্দার পর এখন ওটিটিতেও সমানতালে অভিনয় করছেন তিনি। সদ্য তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয়েছে তাঁর। আমাজন প্রাইম ভিডিওর ‘ধুতা’ ওয়েব সিরিজে অন্যতম চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। এই সিরিজে প্রাচীর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণি তারকা নাগা চৈতন্য।
নাগা চৈতন্যর সঙ্গে কাজ করার প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী নব ভারত টাইমস পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সিরিজটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হিন্দি ছাড়া তেলেগুতেও কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত।
আমি সত্যি কৃতজ্ঞ যে নাগা চৈতন্যর সঙ্গে আমার অভিষেক হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, নিজের সংলাপ যথাযথ বলতে পারা এবং আমি যেন আমার চরিত্রের প্রতি পুরোপুরি সুবিচার করতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে শুটিংয়ের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা মেলে ধরেন প্রাচী। অভিনেত্রীর কথায়, ‘প্রথম দিন আমি খুব নার্ভাস ছিলাম।
কিন্তু নাগা চৈতন্য আমাকে তখন সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, তাঁরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল “লাল সিং চাড্ডা” ছবির শুটিংয়ের সময়। তিনি আমাকে তাই ঘাবড়াতে বারণ করেছিলেন। আমি তেলেগু নিয়ে যতটা নার্ভাস ছিলাম, নাগা হিন্দি নিয়ে ততটাই নার্ভাস ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি আমাকে অনেক সাহস জুগিয়েছেন। নাগা আমার সঙ্গে অনেক ধৈর্য ধরে কাজ করতেন। সেটে আমাকে কেউ বুঝতেই দেননি যে আমি তেলেগু জানি না।’
নিজের ১৭ বছরের অভিনয়জীবন নিয়ে প্রাচী বলেন, ‘জীবন আর ক্যারিয়ার নিয়ে এক সুন্দর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি যখন আমার এই ভ্রমণের দিকে ফিরে দেখি, আমার তখন মনে হয় যে অত্যন্ত বিশেষ কিছু না করেও আমি আমার একটা পরিচিতি গড়ে তুলেছি। নানি, মা, বোনের মতো নারীদের পাশে পাওয়ার জন্য আমি আমার এই জীবনের কাছে কৃতজ্ঞ। ১৭ বছর পরও আমি কাজ পাচ্ছি। আমি মনে করি, আমার মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে, তাই আজও আমি টিকে আছি। আর দর্শক আমাকে আজও দেখতে চান। শিগগিরই মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে “সাইলেন্স টু”-তে আমাকে দেখা যাবে।’