ফের খবরের শিরোনামে বলি অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ এবং সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাদের দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে হওয়া কথোপকথনের স্ক্রিনশট এখন প্রকাশ্যে।
সুকেশ কী কী লিখেছেন অভিনেত্রীকে, তার সবটাই জানা গেছে।
জেলে বসেই নানা সময়ে বলেউড অভিনেত্রী জ্যাকলিনের প্রতি প্রেম উজাড় করে দিয়েছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন অনবরত। দিয়েছেন ভয়েস মেসেজও।
এসব বার্তার মধ্যে প্রতিশ্রুতিই বেশি। সুকেশ বার বারই আশ্বস্ত করেছেন জ্যাকলিনকে, তিনি শিগগিরই এসব ‘মামলা-মোকদ্দমার’ দুশ্চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন নায়িকাকে।
সেই সঙ্গে বিশেষ অনুরোধ করেছেন জ্যাকলিনের প্রতি। তিনি বলি নায়িকাকে কালো পোশাকে দেখতে চান।
চলতি বছরের জুন মাসে হোয়াটসঅ্যাপে জ্যাকলিনকে এসব লেখেন সুকেশ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সুকেশের ক্ষুদেবার্তাগুলো আর পাত্তা দিচ্ছেন না জ্যাকলিন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পাল্টা জবাব দেননি।
তবে কেন নায়িকাকে কালো পোশাক পরতে অনুরোধ জানালেন বন্দি প্রেমিক সুকেশ?
জানা গেছে, জ্যাকলিন কুর্তা বা অন্য কিছু হোক, কালো রঙের পোশাক পরলেই খুশি সুকেশ। এর একমাত্র কারণ, যেন কালো পোশাক পরেন। যাতে সুকেশ বুঝতে পারেন, নায়িকা তার মেসেজগুলো পড়েছেন।
সুকেশের অভিমান, কেন জ্যাকলিন তার সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছেন। কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন তাকে।
এদিকে সুকেশকে বরাবরই ‘ঠগ’, ‘প্রতারক’ বলে আসছেন জ্যাকলিন।
সম্প্রতি আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জ্যাকলিন বিচারপতিকে স্পষ্ট করেই বলেন, সুকেশের মতো ঠগ বার বার আমাকে টার্গেট করছে। আমি নিছকই সুকেশের চক্রান্তের শিকার!
কিন্তু সুকেশের কথায় বার বার প্রেমই ঝরে পড়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, একদিন জ্যাকলিন সুপারস্টার হয়ে উঠবেন। সেই ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। সেজন্য এক চলচ্চিত্র নির্মাতার সঙ্গে নাকি ‘চুক্তি’ও করেছেন সুকেশ।
সূত্র জানায়, জ্যাকলিন যখন মেসেজের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দেন তখন কেস চলাকালীন ওয়েবএক্সের চ্যাট রুমে মেসেজ পাঠাতেন সুকেশ। অভিনেত্রী তার নির্দেশনা বা অনুরোধ মা মানলে যারপরনাই ক্ষেপে যেতেন তিনি।
গত সপ্তাহেই সুকেশ জানিয়েছিলেন তার কাছে এমন কিছু প্রমাণ আছে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে যা এখনও কেউ দেখেননি। তিনি সেগুলো প্রকাশ্যে আনবেন বলেও হুমকি দেন। সুকেশ এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরই দিল্লি পাটিয়ালা দ্বারস্থ হন জ্যাকলিন। সেখানে গিয়ে তিনি ম্যান্ডলি জেলার সুপার দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স শাখায় গিয়ে আবেদন জানান যে, তারা যেন সুকেশকে আর কোনো চিঠি প্রকাশ করতে বা স্টেটমেন্ট দিতে না দেন।
এরপর দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং এবং টিহার জেলে সুকেশের বেআইনিভাবে মোবাইলফোন ব্যবহার নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুকেশ। তার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই আইনি জটিলতায় জড়াতে হয়েছে জ্যাকলিনকে। এ নিয়ে কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি নায়িকাকে। যদিও এর আগে আদালতে সুকেশ দাবি করেন, আর্থিক তছরুপের মামলায় জ্যাকলিন কোনোভাবেই জড়িত নন।